বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই রয়েছে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই সেই রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য বড় উপহার দিলেন গুজরাটের ভূমিপুত্র তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার গান্ধীনগর-মুম্বই বন্দে ভারত সেমি হাইস্পিড ট্রেনের যাত্রা শুরু হল। সবুজ সংকেত দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবারই গুজরাটে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার বন্দে ভারত-এর যাত্রার সূচনার পরই আহমেদাবাদের মেট্রো প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনা করতেও দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রীকে।
এদিন সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে শুরু হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা। এটি দেশের তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনের সওয়ারি ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও। গান্ধীনগর থেকে কালুপুর স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, কালুপুর থেকেই ১২ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকার আহমেদাবাদ মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বছর শেষ হলেই গুজরাটে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই, নিজের রাজ্যে নানা প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ট্রায়াল রানেই বুলেট ট্রেনের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেখা গিয়েছে যে, স্থির অবস্থা থেকে মাত্র ৫২ সেকেন্ডে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে চলে এই ট্রেন। গুজরাট থেকে মুম্বই সফর করতে এই ট্রেনের সময় লাগবে মাত্র ৬ ঘণ্টা। কাজেই মাত্র ৬ ঘণ্টাতেই এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই ট্রেনের মাধ্যমে। কাজেই স্বাভাবিকভাবেই এই ট্রেনকে ঘিরে আকর্ষণ ক্রমেই বাড়ছে। এই ট্রেনে এমন ব্যবস্থা রয়েছে যাতে কোনোভাবেই করোনা কিংবা অন্য কোনও ভাইরাসবাহিত রোগ না ছড়াতে পারে।
জানা গিয়েছে, বন্দেভারত সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসটি মুম্বই ও গুজরাটের গান্ধীনগরের মধ্যে চলাচল করবে। রবিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিনচলবে এই ট্রেন। মুম্বইয়ে সকাল৬টা ১০মিনিট থেকেছাড়লে সেটিগান্ধীনগরে পৌঁছবে১২টা ৩০মিনিটে। আবার দুপুর ২ টো ৫ মিনিটে গান্ধীনগর থেকে রওনা দিলে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছবে।
জানা গিয়েছে, দুই তরফে এই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি সুরাট, ভদোদরা এবং আহমেদাবাদ স্টেশনে থামবে। এই ট্রেনে এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারের ভাড়া ২ হাজার ৫০৫ টাকা এবং চেয়ার কার ১ হাজার ৩৮৫ টাকা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের নকশাও সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এই ট্রেনে মোট ১৬ টি কোচ রয়েছে।