বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ জম্মুর রাজৌরি জেলায় নৌসেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়া পাক ফিঁদায়ে জঙ্গির অবশেষে মৃত্যু হল সেনা হাসপাতালে। অনুপ্রবেশের সময় নিয়ন্ত্রণ রেখায় পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে যায় ওই জঙ্গি।
নিয়ন্ত্রণ রেখায় পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডে পা দিতেই বিস্ফোরণের জেরে গুরুতর আহত হয় ওই জঙ্গি। আহত অবস্থায় ধরা পড়ার পর থেকেই ভারতীয় সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল, তাবারক হোসেন নামের ওই পাক ফিঁদায়ে জঙ্গি। কিন্তু শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট রাজৌরি জেলায় নৌসেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ রেখায় পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে যায় ওই জঙ্গিরা। ওইদিনই নিয়ন্ত্রণ রেখায় বারবার সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে পড়েছিল জওয়ানদের। পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের জমিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে।
এখানেই শেষ নয়, পাক মদতপুষ্ট কয়েকজন জঙ্গি, নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কিছুটা ভেতরে ঢুকেও পড়ে। কিন্তু সেখানে রাখা মাইন ফিল্ডে পা দিতেই বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়। পাশাপাশি আহত অবস্থায় আটক হয় তাবারক হোসেন নামের ওই সন্ত্রাসবাদীকে। তাকে ভর্তি করা হয় সেনা হাসপাতালে। ধৃত জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা। জেরায় সে জানায় যে, তিন-চারজনকে সঙ্গে নিয়ে সে এসেছিল। পাক সেনার কর্নেল ইউনুস চৌধুরী তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এই জঙ্গিকেই প্রাণে বাঁচাতে তিন বোতল রক্ত দিয়েছিল জওয়ানরা। প্রাথমিকভাবে সেইসময় বিপন্মুক্ত হয় ওই জঙ্গি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শনিবারই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হল।
সূত্রের খবর, এর আগে একবার ভারতীয় পোস্টগুলি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ‘রেকি’ করতে এসেছিল তাবারক। হামলা চালানোর জন্য ২১ অগাস্ট সবুজ সঙ্কেত পায় তাবারক। উল্লেখ্য, এই একই সেক্টরে ২০১৬ সালেও তাবারক হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় সেনা। সেবার তার সঙ্গে ধরা পড়েছিল তার ভাই হারুন আলিও। তবে, মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাদের দুই ভাইকেই পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।