বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ২ বছর ধরে মানুষ করোনার দাপটে বিপর্যস্ত। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কাটতে না কাটতে নয়া আতঙ্ক হিসেবে এসেছে আরও ওয়েক ভাইরাস মাঙ্কিপক্স। এদিকে, করোনা এখনও দেশ থেকে বিদায় নেয়নি। নতুন করে কিছু কিছু রাজ্যে ফের সক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরও এক ভাইরাসের উদয় হল দেশে। নাম নরভাইরাস। করোনা ও মাঙ্কিপক্সের থেকে রক্ষা নেই, এক এক নতুন ভাইরাস।
কেরালায় ইতিমধ্যেই দু’জনের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস। কেরালায় দুই শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেরালার স্বাস্থ্য বিভাগ। জল ও খাবারের মধ্যে দিয়েই এই ভাইরাস ছড়ায় বলেই জানা গিয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, এই ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক। সেই জন্যই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে, দেশ এখনও করোনার কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়, তার সঙ্গে দেশে একজনের শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা পাওয়ায়, নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যেই নরভাইরাসের থাবা নিঃসন্দেহে উদ্বেগ আরও বাড়াল।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘দুই শিশুর দেহে নরভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে তাঁরা সুস্থ রয়েছে। এখনই এই নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।’ জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দুই ছাত্রের পেট খারাপের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এরপরই তাদের দেহ থেকে নির্দিষ্ট নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য একটি সরকারি ল্যাবে পরীক্ষা করতে দেওয়া হয় এবং এরপরই ধরা পড়ে যে, তারা নরভাইরাসে আক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে স্কুলের মিড ডে মিলের খাবার থেকেই তাদের মধ্যে এই খাবার ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের কথায় এই ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশাপাশি সংক্রমণও ঠেকানো সম্ভব।
জানা গিয়েছে, মূলত খাবার, জলের মধ্যে দিয়েই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে। সেই কারণেই বিশেষজ্ঞদের মত, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। নরভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির বমি, মাথাব্যথা, গা হাত পায়ে ব্যথার মতো উপসর্গগুলি দেখা যায়। ডায়ারিয়ার সঙ্গে নরভাইরাসের উপসর্গের মিল রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার হাত ধোয়া, বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা এবং বেশি করে জল খাওয়ার মধ্যে দিয়েই এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মত, এখনই এই ভাইরাসকে নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।