বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল দেশের মানুষ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, খাদ্যসামগ্রী থেকে শুরু করে জ্বালানির দাম ক্রমে বাড়তে থাকলেও, কেন্দ্র সরকার মুখ বন্ধ রেখেছিল।এদিকে, বিরোধীরা প্রথম থেকে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তাও মোদীর সরকার কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি এই বিষয়ে। তবে, শেষপর্যন্ত চুপ থাকা গেল না। বিরোধীদের চাপে শেষপর্যন্ত সোমবার সংসদে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু করল কেন্দ্র সরকার।
সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ খোলেন। কিন্তু তাঁর জবাব কোনভাবেই সন্তুষ্ট করতে পারেনি বিরোধীদের। সরকারের জবাব কোনভাবেই সন্তোষজনক নয়, এই অভিযোগে এদিন লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা।
সংসদের চলতি অধিবেশন একটানা ১০ দিন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সব বিরোধীরা নোটিস দেওয়ার পর, এদিন কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে আজ দেশে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আজ সংসদে দেশের আর্থিক মন্দা এবং ক্রমাগত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সমস্ত বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে নিজের ভাষণে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ আর্থিক মন্দার পথে হাঁটছে বা ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির ফাঁদে পড়েছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় ঘটনার পরও আমরা মুদ্রাস্ফীতির হার ৭ শতাংশ বা তার নিচে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
এখানেই শেষ নয়, এদিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আরও বলেন, ‘বর্তমানে রিটেল ইনফ্লেশনের হার ৭ শতাংশ। কিন্তু ইউপিএ জমানায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯ শতাংশে। তবে বিশ্বজুড়ে খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে। তাই ভারতেও দাম কমবে।’
এদিকে, এদিন সংসদে নির্মলার দেওয়া পরিসংখ্যান ও যুক্তি কোনভাবেই খুশি করতে পারেনি বিরোধীদের। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা। কংগ্রেস সাংসদরা বেরিয়ে যাওয়ার পর্ কিছুক্ষণের মধ্যেই ডিএমকে সদস্যরাও ওয়াকআউট করেন। এদিন কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি। এদিন সংসদে আলোচনার প্রথমেই তিনি অভিযোগ করেন যে, নোট বাতিল এবং জিএসটি-র মতো পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকার দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।