1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

নিজেদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সন্তানের উপর চাপ দেবেন না! অভিভাবকেদের বার্তা নরেন্দ্র মোদীর

আত্রেয়ী সেন

এপ্রিল ১, ২০২২, ০১:৪৪ পিএম

নিজেদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সন্তানের উপর চাপ দেবেন না! অভিভাবকেদের বার্তা নরেন্দ্র মোদীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ বাৎসরিক ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়া এবং তাঁদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চাপ এবং সেই সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তরও দেন প্রধানমন্ত্রী। 

এবার অন্তত একবছর পর ফের একবার অফলাইনে চালু হল ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। সব পরীক্ষার্থীই এই আলোচনার জন্য মুখিয়ে থাকে। পড়ুয়াদের নানা টিপস দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী দিলেন নানা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও। এই অনুষ্ঠানের কথা আগেই টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। সেই অনুযায়ী, এদিন ফের একবার অফলাইনে স্কুলের পরীক্ষার্থীদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরীক্ষার কঠিন সময় কীভাবে পার করবে দেশের আগামীর নাগরিকেরা, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র মঞ্চ থেকে এদিন সেই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। দিলে অনেক প্রশ্নের জবাবও। 

এদিন প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি মনে করেন যে, অভিভাবকদের অনেকেই নিজেদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সন্তানের উপর চাপ দেন। সন্তানকে ভালো নম্বর পেতে হবে এমনটাই তাদের সব সময় মনে করিয়ে দেন। এতে সন্তানও ভাল নম্বর পেতে হবে, এই চিন্তা করে চাপে পড়ে যায়। এর জেরে ঠিকভাবে পড়াশোনায় মন দিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মানসিকতার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, বাবা-মায়ের জন্য পড়ুয়াদের কখনই চাপে থাকা উচিত নয়। তাই অভিভাবকদের কখনই নিজেদের স্বপ্ন সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। পড়ুয়াদের নিজেদের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা দরকার। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পড়ুয়ারা কখনও কখনও সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের বন্ধুদের সাথে ক্লাসে যা শিখেছে তা রিভিশন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটি তাদের জ্ঞান আহরণে সাহায্য করবে ভীষণভাবে।

আমরা প্রায়ই বলে থাকি যে, ভয়কে জয় করতে না পারলে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর মুখেও সেই একই কথা প্রতিধ্বনিত হল। এদিন পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন যে, ‘আমি চাই, পরীক্ষার সময় প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী যেন ভয়ের বাতাবরণ থেকে দূরে থাকে। বন্ধুদের অনুকরণ করার কোনও দরকার নেই। তুমি যা জান, যেটুকু করতে পার, সেটুকুই পুরো বিশ্বাসের সঙ্গে করে যাও। আর আমি জানি, তাহলেই তোমরা সকলে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে পরীক্ষা দিতে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী এদিন পড়ুয়াদের চাপমুক্ত থাকার বার্তাই দিয়েছেন। বিশেষ করে জীবনের প্রথম বোর্ডের পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের একটা বড় অংশই খুবই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। এর জন্য অনেকেই ভালো করে পরীক্ষা দিতেই পারে না। আবার আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তার কারণে অসুস্থ হওয়ার ঘটনাও ঘটে। তাই চাপের কাছে হেরে না গিয়ে, নিজেদের উপর আস্থা, ভরসা রাখার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

অন্যদিকে, এদিন প্রধানমন্ত্রী পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেন যে,  ‘বিশ্বজুড়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল দক্ষতা। প্রযুক্তি ক্ষতিকারক নয়, তবে, এটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা উচিত। আজ শিক্ষার্থীরা 3D প্রিন্টার তৈরি করছে এবং বৈদিক গণিতের জন্য অ্যাপ চালাচ্ছে। তারা দক্ষতার সাথে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।’

এদিন দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, আগেও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তালকাটোরা স্টেডিয়ামে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিন অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাচ্চাদের নানা সমস্যার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের মতো করে তার সমাধানের রাস্তাও বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, এই ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরই মস্তিষ্কপ্রসূত। দেশের সব পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার লক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠান। শুধু পরীক্ষার্থী নয়, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু এই দেশের পড়ুয়ারাই নয়, বিদেশে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের সঙ্গেও কথা বলে থাকেন প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। পরীক্ষার ঠিক আগে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রাখাতে হবে, তা নিয়ে এর আগেও পরামর্শ দিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং কম্পিটিশন করা হয়েছিল গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। ১৫ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। বিগত ৪ বছর ধরে শিক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথম অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেবার তালকাটোরা স্টেডিয়ামে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। 

সেখানে সামনাসামনি উপস্থিত থেকে প্রশ্নোত্তর পদ্ধতির মাধ্যমে আলোচনা হয়েছিল। চতুর্থ অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ২০২১ সালে ১৭ এপ্রিলে। সেটি করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হয়েছিল। 

 

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন