মদ খেয়ে বেহুশ হয়ে রয়েছেন শ্বশুর। আর এই সুযোগে ই শাশুড়িকে নিয়ে চম্পট দিল জামাই। এমন আজব প্রেমের ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের সিরোহি জেলার আনাদারা এলাকায়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের সিরোহি জেলার আনাদারা এলাকার বাসিন্দা রমেশ আনাদারার মেয়ে কৃষ্ণার সঙ্গে বিয়ে হয়, মামাওয়ালির বাসিন্দা নারায়ন যোগীর। এরপর থেকেই ঘনঘন শ্বশুরবাড়িতে আসতে শুরু করে জামাই।আসা-যাওয়ার মাঝে যে শাশুড়ির সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বাবা-মেয়ে। শাশুড়ি জামাইয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। দুজনে পরিকল্পনা করেন পালিয়ে বিয়ে করার। এরপরেই রমেশবাবু হঠাৎ জানতে পারেন তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার মেয়ের স্বামীর।
এরপর যেমন ভাবা তেমন কাজ। গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখও বাড়িতে আসে জামাই। এরপর রমেশ বাবু জানান, তার সঙ্গে বসে মদ খান জামাই নারায়ন। যদিও সেদিন নিজে খুব কম খেলেও শ্বশুরকে গলা পর্যন্ত মদ খাওয়ান নারায়ণ। সেই মদের নেশায় বেঁহুশ হয়ে যান শ্বশুর। বাড়ি তখন ফাঁকা। সেই সুযোগেই শাশুড়িকে নিয়ে চম্পট দেয় জামাই।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর স্ত্রী বাড়িতে নেই। এমনকী খোঁজ মিলছে না জামাইয়েরও। পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী অর্থাৎ শাশুড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জামাইয়ের। রবিবার রাতে সুযোগ পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে শাশুড়ি জামাই।
এরপর, বৌ ও জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন থানায়।অভিযোগের ভিত্তিতে পলাতক দুজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকেই পালানোর ছক ছিল শাশুড়ি-জামাইয়ের।