বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, প্রায় জোর করেই তাঁদের গাড়িতে তোলা হয়েছিল। একটু চেষ্টা করতেই বিশ্বাস অর্জন করা গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্বাস করার মাশুল দিতে হল এক যুবতী ও তাঁর ৬ বছরের নাবালিকা কন্যাকে। পাশবিক অত্যাচারের শিকার হলেন মা। চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষিতা হলেন ওই যুবতী। এমনকি দুর্বৃত্তদের বিকৃত লালসা থেকে মুক্তি পেল না বছর ৬-এর নাবালিকাও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, পিরান কালিয়ার নামক এক ধর্মীয় স্থান থেকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখে ফিরছিলেন ওই মহিলা, সঙ্গে ছিল তাঁর ৬ বছরের নাবালিকা শিশুকন্যা। সেইসময় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় সোনু নামে যুবক। প্রথমে নির্যাতিতা মহিলা রাজি না হলেও, পরে রাত হয়ে যাওয়ায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই অভিযুক্ত সোনুর গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু কিছুটা রাস্তা এগোতেই আসল রূপ ধরে অভিযুক্তরা।
চলন্ত গাড়িতেই অভিযুক্ত সোনু এবং তার অন্যান্য বন্ধুরা মিলে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। এমনকি ওই মহিলার ৬ বছরের নাবালিকা শিশুকন্যাকেও রেয়াত করেনি অভিযুক্তরা। তার উপরেও চলে পাশবিক অত্যাচার।
স্থানীয় পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গাড়ির মধ্যে গণ ধর্ষণের পর, মা এবং মেয়েকে একটা খালের পাশে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। এরপর জ্ঞান ফিরতে ওই মহিলা কোনমতে মাঝরাতেই থানায় পৌঁছান। এবং গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে, ঠিক কতজন ওই গাড়িতে ছিল, তা পরিষ্কারভাবে বলতে পারেননি তিনি।
নির্যাতিতা মহিলা শুধু জানিয়েছেন, যে গাড়ি চালাচ্ছিল তার নাম সোনু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশিও। পাশাপাশি মা ও মেয়েকে স্থানীয় রুরকি সিভিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে। আর তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।