বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশব্যাপী জারি করা হয়েছিল ‘জরুরি অবস্থা’। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আরও একবার উঠে এল সেই সময়ের কথা। উল্লেখ্য, আজই ছিল জরুরি অবস্থার ৪৭ তম বর্ষপূর্তি। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন কীভাবে সেই সময় গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল, কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল গ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জরুরি অবস্থার সময়ে নাগরিকদের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখিত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার মতো বিষয়ও রয়েছে।’ নরেন্দ্র মোদী আরও একবার মনে করিয়ে দেন যে, দেশের কোনও মানুষেরই সেই অন্ধকার সময়কে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। উল্লেখ্য, আজ থেকে ৪৭ বছর আগে দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ঘোষণা করেছিলেন দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী।
সেই সময় নির্বাচনে অসৎ পথ অবলম্বনের অভিযোগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এই কারণে ৬ বছরের জন্য তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এরপরই জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘোষণার জেরে সাংবিধানিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা রদ হয়েছিল। এমনকি সংবাদমাধ্যমের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। সংবাদমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বহু বিরোধী নেতাই গরাদের পিছনে ছিলেন। গেরুয়া শিবির বরাবরই জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তির দিনগুলিকে ‘কালো দিন’ হিসেবেই পালন করে এসেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার ছিল প্রধানমন্ত্রীর ৯০ তম ‘মন কি বাত’। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই নিজের ভাষণে মোদী জানান, এই রেডিও অনুষ্ঠান নিয়ে বহু মানুষের প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, চিঠি ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া এবং নমো অ্যাপেও অনেকেই এই অনুষ্ঠান নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠান প্রত্যেক মাসের শেষ রবিবারই এই অনুষ্ঠান হয়। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই অনুষ্ঠান করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে এই অনুষ্ঠানে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী এপিসোডগুলির বিষয়ে সকলকে আইডিয়া দিতে বলেন। এছাড়াও করোনা টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়ার আরজি জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ডাকও দিয়েছেন তিনি।