বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ত্রিপুরার নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আজই শপথ নিলেন ডা. মানিক সাহা। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পর মুখ্যমন্ত্রীর নাম হিসেবে মানিক সাহার নাম ঘোষণার পরই রাজ্য বিজেপিতে অশান্তির শুরু। এবার এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ বহু বিধায়ক। আরও চওড়া হল বিজেপির অন্দরের ফাটল।
রবিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন, কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল-সহ একাধিক বিধায়ক। তবে, শপথ গ্রহণের পর রাজভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। বিপ্লব দেবের ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। গতকালই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা দলের রাজ্যসভার সাংসদ মানিক সাহার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় বিজেপির তরফে।
এদিকে, এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তনে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে। ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে দলের অন্দরে। সেই অসন্তোষের মধ্যেই রবিবার আগরতলার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রীর বদলের খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় সেখানে বিজেপির কার্যালয়ে। চেয়ার ভাঙা হয়।
শনিবার আচমকাই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। যদিও তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কার্যকালের এখনও ১ বছর বাকি রয়েছে। কিন্তু তার আগেই তিনি ইস্তফা দেন। এদিকে, আগামী বছরেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এরপরই সাততাড়াতাড়ি বৈঠকে বসেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতি মানিক সাহার নাম ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, দলে বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, বিপ্লব দেবের একনায়কতন্ত্রে অতিষ্ঠ ছিলেন বিধায়ক এবং দলীয় কর্মীদের একটা বড় অংশ। অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ করছিলেন। এই অবস্থায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরলেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ মানিক সাহার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। পেশায় দাঁতের চিকিৎসক মানিক সাহা। ২০১৬ সালে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২০ সালে তাঁকে ত্রিপুরার রাজ্য বিজেপি সভাপতি করা হয়।