বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কথায় বলে, রাখে হরি মারে কে। যার মাথার উপর খোদ ভগবানের হাত রয়েছে, মৃত্যু তাঁর একচুলও ক্ষতি করতে পারবে না। একথা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। তাই তো খোদ মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও, বিনা রক্তপাতে প্রাণে ফিরলেন এক যুবক ও এক শিশু। তবে, এখানে শিশুটির প্রাণ বাঁচানোর কৃতিত্ব ওই যুবকের। তাও নিজের জীবনের ঝুঁকি না নিয়েই। এমন সাহসী, নির্ভীক, পরের উপকারে এগিয়ে আসা মানুষের পাশে ভগবান সবসময়ই যে থাকেন, তাও এই ঘটনা থেকে আরও একবার প্রমাণিত হল।
ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল? ঘটনাস্থল ভোপাল। রোজকার মতো কাজ থেকে ফিরছিলেন পেশায় ছুতোর মিস্ত্রি মহম্মদ মেহবুব। তাঁর বাড়ি থেকে কর্মস্থল হাঁটাপথ। সেখানে যেতে গেলে মাঝে একটি রেললাইন পড়ে। তা পার করেই যাতায়াত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি মালগাড়ি আসতে দেখে লাইনের এ পারেই দাঁড়িয়ে পড়েন মেহমুদ এবং আরও কয়েকজন পথচারী।
এদিকে, তখনও মালগাড়িটি বেশ খানিকটা দূরে। সেই সময় লাইনের লাইনের ধারে বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল একটি পরিবার। আচমকাই মেয়েটি লাইনের উপর পড়ে যায়। পড়ার পরেও উঠে আসার চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু ততক্ষণে একেবারে কাছে চলে এসেছিল মালগাড়িটি।
সবাই যখন কী করবেন বুঝতে পারছেন না, আতঙ্কগ্রস্ত, ঠিক সেই সময় আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না বছর সাইত্রিশের মেহমুদ। নিজের জীবনের পরোয়া না করেই, লাফ মেরে মেয়েটিকে লাইনের মাঝে নিয়ে আসেন। ট্রেনের ধাক্কা থেকে বাঁচতে নিজের এবং মেয়েটির মাথা স্লিপারের মাঝে চেপে রেখে দিয়েছিলেন। এদিকে, ততক্ষণে মালগাড়িটি তাঁদের মাথার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। ট্রেনটি চলে যেতে মেয়েটিকে নিয়ে লাইন থেকে ফের উঠে দাঁড়ান মেহমুদ। কিন্তু তাঁদের দুজনের কারও গায়েই একটুও আঁচড় লাগেনি।