বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কন্যাসন্তান মানেই যেন পরিবারে বিষাদের ঘন কালো মেঘ ঘনিয়ে আসা। আজও অনেকেই কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করেন। পুত্র আর কন্যা সন্তানকে আলাদা নজরে দেখেন। এখনও পর্যন্ত এই চিন্তাধারার বদল হয়নি। আই সেই নিম্ন রুচির চিন্তাধারার বশবর্তী হয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন খোদ সদ্যোজাতর মা।
প্রথম সন্তান মেয়ে হয়েছিল। তাই পুত্র সন্তানের আশায় ফের একবার চেষ্টা করেছিলেন এক দম্পতি। কিন্তু দ্বিতীয়বারেও তাঁদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। এবারেও তাঁদের কন্যাই হয়। আর সেটাই মেনে নিতে পারেননি সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের মা। রাগে দুধের সন্তানকে খুন করে বসলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের লাতুরে। শনিবার পুলিশ অভিযুক্ত যুবতীকে নিজের মাত্র ৩ দিনের কন্যাসন্তানকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীও নিজের অপরাধের কোথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন লাতুরের কাসা জাওয়ালা গ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ফোন আসে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক নারস অভিযোগ করেন যে, সদ্যোজাত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক নয়। এই খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এবং তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল যে, শ্বাসরোধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এরপর শিশুর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর শিশুটির মায়ের বয়ানেই পুলিশের সন্দেহ হয়। মৃত শিশুটির মা একেকবার এক একরকম কথা বলছিলেন।
এরপর শুক্রবার ফের জেলা করা হলে, ভেঙে পড়েন ওই যুবতী। নিজেই সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযুক্ত যুবতীকে জেরা করে জানা গিয়েছে যে, ২৫ বছরের ওই যুবতী গত ২৬ ডিসেম্বর কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এটি তাঁর কন্যাসন্তান ছিল। প্রথম সন্তানও মেয়ে। দ্বিতীয়বার আশা ছিল ছেলে হবে। কিন্তু টা বাস্তবে হয়নি। ইচ্ছে পূরণ না হওয়ায় তিনদিন বাদে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকাকালীন সকলের চোখের আড়ালে রুমাল দিয়ে সদ্যোজাতর শিশুটির গলা পেঁচিয়ে খুন করেন। এরপরে দেহ আবার রেখে দেন। এরপর নারস পরীক্ষা করতে এসে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এদিকে, পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা কিছুই জানেন না। শুক্রবারই পুলিশ ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছেন। ওই যুবতীর পরিবারের পক্ষ থেকে পুত্র সন্তানের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।