বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ লালু প্রসাদ যাদবের। পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় সোমবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে ৫ বছরের কারাবাসের সাজা শোনাল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এখানেই শেষ নয়, ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই কোর্ট গত সপ্তাহেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করে। আর এদিন তার সাজা ঘোষণা করা হল। শুধু লালুপ্রসাদই নন, তিনি ছাড়াও এই মামলায় প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, তৎকালীন পিএসি চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগত, পশুপালন দফতের সচিব বেক জুলিয়াস এবং পশুপালন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে এম প্রসাদ প্রধান অভিযুক্ত।
এদিকে, সিবিআই আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাচ্ছেন আরজেডি প্রধানের আইনজীবী। আইনজীবীর কথায়, ইতিমধ্যে অর্ধেক সাজা সম্পূর্ণ করেছেন লালু প্রসাদ যাদব। কাজেই বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আবারও জেলে যেতে হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এই একই মামলায় লালুপ্রসাদ-সহ মোট ১৭০ জন অভিযুক্ত। এর মধ্যে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজসাক্ষী হয়েছেন ৭ জন। পাশাপাশি এখনও ৭ জন পলাতক। এর আগে পশুখাদ্য দুর্নীতিতে মোট ৪ টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় লালুর বিরুদ্ধে এটিই ছিল পঞ্চম এবং চূড়ান্ত মামলা। ডোরান্ডা ট্রেজারি এই মামলাটিতে লালুর বিরুদ্ধে ১৩৯ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ এনে ছিল। এর আগে ১৪ বছরের জেল এবং ৬০ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়। সেই মামলায় ইতিমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন লালুপ্রসাদ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে। সিবিআই তদন্ত শুরু হলে, লালু প্রসাদ যাদব এবং আরও একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত ১৫ বছর ধরে প্রায় ৫৬৫ জনের সাক্ষপ্রমাণ নেওয়া হয়েছে এই মামলায়।