বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দুটি কিডনিই কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। কারুভান্নুরের বাসিন্দা মাত্র ২৭ বছরের তরুণ বিবেক প্রভাকরের জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিডনি প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায় বিবেকের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে। কিন্তু তার জন্যও যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। এদিকে, অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে বিবেকের চিকিৎসা। আর একথা জানতে পেরেই নিজের হাতের সোনার বালা খুলে দিলেন কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু।
এদিন ত্রিশুরের ইরিনজালাকুরা এলাকায় প্রশাসনিক একটি কাজের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু। সেই সময় বিবেকের চিকিৎসার জন্য একটি কমিটি গঠন করে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন তাঁর কয়েকজন বন্ধু ও ঘনিষ্ঠরা। সেই সময় তাঁদের কাছ থেকেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী বিবেকের অসহায়তার কথা জানতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই নিজের হাতের বালা খুলে দেন। উল্লেখ্য, আর বিন্দুই বিবেকের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহে প্রথম দাতা। এদিকে, মন্ত্রীর এই পদক্ষেপে চমকে যান সকলেই। পাশাপাশি তাঁর এই মহানুভবতা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে, অনেকেই এগিয়ে আসেন সাহায্য করতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিবেকের অসুস্থতা ও অসহায়তার কথা শুনে মন্ত্রী চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তবে, তিনি নিজের হাতের বালা বিবেকের চিকিৎসার জন্য গঠিত কমিটির সদস্য মনমোহন, নাসিনা কাজমন এবং সাজি ইরাত্তুপারম্বিলদের হাতে তুলে দিয়েই সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে অবশ্য বিবেকের এক আত্মীয়ের কাছে তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং বিবেকের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমাদের দেশে খেলোয়াড়রা বিদেশের মাটিতে বড় সাফল্য অর্জন করলে, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার একযোগে এগিয়ে এসে তাঁদের স্বীকৃতি দেয়। কোটি কোটি টাকা, সঙ্গে ফ্ল্যাট, গাড়ি, জমি নানা দামি উপহারে ভরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এখানেই শেষ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, ওই খেলোয়াড় যে জেলার বাসিন্দা, সেখানকার বিধায়ক, সাংসদ এবং রাজ্যের মন্ত্রীরাও ব্যক্তিগতস্তরে গিয়েও সাহায্য করেন। কিন্তু একজন অসুস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার মানুষ বড়ই কম। তাই কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু দুটি কিডনি বিকল হওয়া অসহায় যুবকের সাহায্যে নিজের সোনার বালা খুলে দিয়ে, দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আর এ বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। তাঁর এই কাজ অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করবে।