বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মৃত্যুতেও একে অন্যের হাত ছাড়েনি দুই বোন। সেই হাত ধরা অবস্থাতেই উদ্ধার দুই নাবালিকার নিথর দেহ। এই দুই নাবালিকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একই পরিবারের আরও ৪ জনের দেহ। সোমবার রাতে কর্ণাটকের উত্তর ও দক্ষিণ কন্নড় জেলায় এই ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ধসের কারণে। জানা গিয়েছে, একই পরিবারের যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ধসের কারণে তাঁরা উত্তর কন্নড় জেলার ভাটকল তালুকের মুত্তাল্লি এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে, ধসের কবলে পড়ে যে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে তাদের নাম শ্রুতি, বয়স ১১ বছর আর তার বোনের নাম জ্ঞানশ্রী, বয়স ৬ বছর। এই দুই বোন দক্ষিণ কন্নড় জেলার সুব্রহ্মণ্য এলাকার বাসিন্দা৷ জানা গিয়েছে, তাদের বাড়ির উপর পাহাড়ের একাংশ ভেঙে পড়ার জেরে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে ওই দুই বোনের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সময় উদ্ধারকাজ চলার পর, ওই দুই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল থেকেই সুব্রহ্মণ্য জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ আচমকাই প্রবল শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই সময় বাড়ির বারান্দায় পড়াশোনা করছিল ওই দুই বোন। প্রচণ্ড শব্দে ভয় পেয়ে বড় বোন শ্রুতি ঘরের ভিতরে ছুটে যায়। তার দেখাদেখি ছোট বোনও ঘরের ভিতরে ঢোকে। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই পাহাড়ের একাংশ ভেঙে পড়ে তাদের বাড়ির উপরে। ওই দুই শিশুর মা সেসময় রান্নাঘরে ছিলেন। তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁর মনে হয়েছিল, মেয়েরা হয়ত বাইরে খেলছে। তিনি কল্পনাও করতে পারেননি দুই মেয়েই বাড়ির ভেতরে রয়েছে।
অন্যদিকে, উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়েছিল। পাশাপাশি নদীতে স্রোতও ভালোই ছিল। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিও হচ্ছিল। ফলে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধারকাজে অনেক সময়ও লাগে।