বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশে তথাকথিত আধ্যাত্মিক গুরুদেবর কমতি নেই, আবার তাদের কুকীর্তির সংখ্যাও ভুরিভুরি। তাদের কুকীর্তি যেন থামছেই না। আশারাম বাপু থেকে বাবা ডেরা সাচ্চা সৌদা প্রধান বাবা গুরমিত রাম রহিম, আরও নাম রয়েছে এই তালিকায়। আর এবার সেই তালিকাতেই যোগ হল ‘জিলিপি বাবা’-র নাম। নিজের কুকীর্তির জন্যই হরিয়ানার এই ‘বাবা’-র নাম এখন আরও বেশি করে চর্চায়। বিপদে পড়ে তাঁর ডেরায় আসা ১২০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে এই জিলিপি বাবা। এখানেই শেষ নয়, কয়েকশো ভিডিও তৈরিও করেছে।
হরিয়ানার বাবা বালকনাথ মন্দিরের ওই সাধু জিলিপি বাবাকে ওই ১২০ মহিলার ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও তৈরির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই এই জিলিপি বাবার নামে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ জমা হচ্ছিল রাজ্যের বিভিন্ন থানায়। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতেই বাবা-র ডেরায় অভিযান চালায় পুলিশ এবং সেই অভিযানে কয়েকশো আপত্তিকর ভিডিও উদ্ধার হয়েছে বলেই খবর।
কিন্তু এই তথাকথিত বাবা-র এমন নাম কেন? একসময় হরিয়ানার তোহানা রেল রোডের একটি জায়গায় জিলিপি ভেজে এবং বিক্রি করাই ছিল তার ব্যবসা। সেই সময় তার নাম অবশ্য ছিল অমরপুরী। সেই ব্যবসা করতে করতেই তান্ত্রিক হয়ে যান অমরপুরী আর নাম পাল্টে হয় জিলিপি বাবা।
জানা গিয়েছে, ডেরায় যেসব মহিলা তাঁদের সমস্যা নিয়ে আসতেন, তাঁদের ড্রাগ দিয়ে বেহুঁশ করে ফেলত এই জিলিপি বাবা। এরপর নিজের বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করত। এভাবেই জিলিপি বাবার শিকার হয়েছিলেন ১২০ জন মহিলা। এখানেই শেষ নয়, গোপন ক্যামেরায় শ্যুট করা হত সেই দৃশ্যও। এরপর সেইসব দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ত। যা পুলিশের নজরে পড়ে যায়। সঙ্গে অভিযোগ তো ছিলই। এরপরই ব্যবস্থা নেওয়া হয় জিলিপি বাবার বিরুদ্ধে।