COVID-19 India Update: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের সামান্য বাড়ল করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। কিন্তু, গত কয়েকদিন একটু একটু করে ফের বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, ফের করোনা গ্রাফে উন্নতি দেখা দেয়। এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজারের নিচেই রয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। তবে, করোনা গ্রাফ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, করোনা গ্রাফে ওঠানামাও অব্যাহত রয়েছে। যেমন গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও সামান্য বেড়েছে।
সপ্তাহের প্রথম দিনে দেশের করোনা গ্রাফ যথেষ্ট স্বস্তিজনক জায়গায় রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৮ জন। যা গতকালের তুলনায় সামান্য বেশি। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃতের সংখ্যাও সামান্য বেড়েছে। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫০ এর নিচে থাকলেও, ফের তা বাড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। গতকাল করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ২৭ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৯৭৪ জনের।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কিছু সময় ধরেই কমছে দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৯১৭। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৮ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৭২২ জন। জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ১৭১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
করোনার মোকাবিলায় এখনও চলছে টিকাকরণ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮০ কোটি ৪০ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। এদিকে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে পাশাপাশি চলছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও। এবার বুধবার অর্থাৎ ১৬ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, ষাটোর্ধ্বদের জন্য ‘প্রিকশন ডোজ’ অর্থাৎ বুস্টার ডোজে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এতদিন পর্যন্ত ষাটোর্ধ্ব যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরই একমাত্র করোনা টিকার ‘বুস্টার’ ডোজ দেওয়া হচ্ছিল।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আসায় খুলেছে ছোটদের স্কুল। করোনার গ্রাফ বলছে ধীরে ধরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে দেশ। তাও বিশেষজ্ঞরা এখনও করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া সবথেকে বড় স্বস্তির খবর, প্রথমে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা বলা হলেও, গবেষকরা জানাচ্ছেন যে, দেশে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।