বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা আগেই নেমেছিল এক লক্ষের নিচে। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। তবে, গত কয়েকদিন একটু একটু করে ফের বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে ফের করোনা গ্রাফে উন্নতি দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের কমেছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনার সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ যে স্তিমিত, তা আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। তবে, মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে চিন্তা ছিলই। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। তবে, বেড়েছে পজিটিভিটি রেট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫১ জন। যা গতকালের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৯৬৮ জন। পজিটিভিটি রেট বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১.৯৩ শতাংশ। এই হার গতকালের তুলনায় বেশি। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২০৬ জন। মৃত্যুর সংখ্যা গতকালের থেকে অনেকটাই কম। গতকাল দেশে মৃত্যু হয়েছিল ৬৭৩ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডের বলি ৫ লক্ষ ১২ হাজার ১০৯ জন।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে একধাক্কায় অনেকটাই কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ২ হাজার ১৩১ জন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯০১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৩ শতাংশ। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২১ লক্ষ ২৪ হাজার ২৮৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনার টিকা পেয়েছেন ১৭৫ কোটি ৪৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৭১০ জন। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, অবশ্য এখনই স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ। তবে, সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও, তা নিয়ন্ত্রনেই আছে বর্তমানে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে।