বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভারতের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। প্রতি বছর অনেক সংখ্যায়-ছাত্র-ছাত্রী এই আইআইটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য পড়াশোনা করে থাকে। কিন্তু খুব কম সংখ্যায় ছাত্র-ছাত্রী দেশের এই অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।
এই আইআইটি’র পড়ুয়াদের নিয়ে একটা ধারণা প্রচলিত আছে যে, আইআইটি’র পড়ুয়ারা অত্যন্ত মেধাবী হয়ে থাকে। তারা সারাদিনই বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকে। এদের বিষয়ে অন্যরকম ধারণা কেউ ভাবতেই পারেন না। সেই আইআইটি’র এক পড়ুয়াই এবার এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন যে সবাই হতবাক। দুই পুলিশকর্মীকে কাটারি নিয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হয় আইআইটি থেকে স্নাতক এক যুবক। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের খাস তালুক গোরক্ষপুর মন্দিরের বাইরে রবিবার সন্ধের সময় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে, ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তাতে কোনও লাভ হয়নি। এদিকে, এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’-এর সঙ্গে তুলনা করছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।
ওই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের নাম আহমেদ মুর্তাজা আব্বাসি। মুর্তাজা আইআইটি থেকে স্নাতক। রবিবার সন্ধের সময় তিনি হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মন্দিরের বাইরে চিৎকার করছিলেন। উল্লেখ্য, একসময় এই গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে, ওই যুবক অস্ত্র নিয়ে মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করলে, তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেন সেখানে থাকা পুলিশ কর্মী এবং স্থানীয় দোকানদাররা। কিন্তু ওই যুবক উল্টে তাঁদের দিকেই অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যান। উপস্থিত জনতা তাঁর দিকে পাথর ছুড়তে থাকেন। অবশেষে অনেক চেষ্টার পর তাঁকে ধরে ফেলা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক গোরক্ষপুরেরই বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তিনি আইআইটি বম্বে থেকে স্নাতক হন। ওই যুবকের থেকে একটি মোবাইল, ল্যাপটপ এবং একটি টিকিট পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন যে, ওই যুবকের থেকে যা কিছু পাওয়া গিয়েছে, তাতে এই ঘটনার নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এমনকি এই ঘটনা জঙ্গি হামলা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।