বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি সারা। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের সভাপতি পদে কি গান্ধী পরিবারের কেউ থাকবেন, না কি এবার গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি হবেন? এই বিষয়ে জল্পনার শেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট। তিনি এই বিষয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করে ব্যক্ত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন যে, দল সভাপতি পদে সর্বসম্মতিক্রমে রাহুল গান্ধীকে মেনে নিতে প্রস্তুত। দলের নির্বাচন কমিটি জানিয়েছে যে, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলের নতুন সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তাঁর মতে, দেশব্যাপী সর্বস্তরের কংগ্রেসের কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই রাহুল গান্ধীর সভাপতি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘যদি রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি না হন, তবে তা সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীদের কাছে অত্যন্ত হতাশাজনক হবে। অনেকেই বাড়িতে বসে যাবেন। দেশের কংগ্রেসী মনোভাবাপন্ন মানুষদের কথা ভেবে, রাহুলের নিজেরই এই পদ গ্রহণ করা উচিত।’
এর পাশাপাশি রাহুল গান্ধীকে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি করার জন্য দলের অন্দরে যে কোনও দ্বিমত নেই, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে দল রাহুলের সভাপতিত্বের পক্ষে। তাই আমার মনে হয়, তাঁর এই পদ গ্রহণ করা উচিত। এখানে গান্ধী বা অ-গান্ধীর কোনও ব্যাপার নেই, এটা সাংগঠনিক বিষয় এবং প্রধানমন্ত্রিত্বেরও কোনও বিষয় নেই।’
কে হবেন কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি? গান্ধী পরিবারের কেউ নাকি অ-গান্ধী কেউ? এই প্রশ্নের খোঁজে যখন বিস্তর আলোচনা চলছে, ঠিক তখনই সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর হয়ে সওয়াল করলেন অশোক গেহলট। তাঁর কথায়, ‘বিগত ৩২ বছরে এই পরিবার থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী হননি। তাসত্ত্বেও কেন মোদীজি এই পরিবারকে এত ভয় পান? কারণ স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশ ও কংগ্রেস দলে ডিএনএ-তে কোনও বদল হয়নি। কংগ্রেস সব ধর্ম ও জাতিকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে পারে। ৭৫ বছর ধরে কংগ্রেস দেশের গণতন্ত্র বজায় রেখেছে।’
অন্যদিকে, ২০২৩ সালেই রয়েছে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন নিয়েও আশাবাদী এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হব এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও জিতব। এইবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য খেলাটা অতটাও সহজ হবে না। যেভাবে নীতীশ কুমার বিহারে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছেন এবং যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস রাস্তায় নেমেছে, তাতে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কেঁপে গিয়েছে।’