করোনা আবহে গত দু`বছর পুরীর রথযাত্রায় সাধারণ দর্শনার্থী বা ভক্তদের অংশগ্রহণে ছিল নিষেধাজ্ঞা। বিগত বছরগুলিতে ভক্তদের ছাড়াই রথযাত্রার উদযাপন হয়েছিল। তবে বর্তমানে দেশের কোভিড পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণে। তাই এবার রথের রশিতে ফের টান দেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন ভক্তরা। সম্প্রতি পুরীর প্রশাসনের তরফে এমনটাই জানানো হল
দেশের করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে এ বছর পুরীর রথযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এমনটাই জানালেন পুরীর জেলাশাসক সমর্থ বর্মা। তিনি জানান, যদি কোভিড সংক্রমণ না বাড়ে তাহলে অন্যান্য বারের মতো এবারও মহা জনসমাগমের মাধ্যমে রথযাত্রার উৎসব আয়োজিত হবে। তবে সংক্রমণ বাড়লে গত দু`বছরের মতো এবারও ভক্তদের ছাড়াই উৎসব করা হবে।
জানা গিয়েছে, এ বছর পয়লা জুলাই থেকে পুরীর রথযাত্রা উৎসবের সূচনা। যদি জুলাই মাসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেক্ষেত্রে ভক্তরা রথের রশিতে টান দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন সমর্থ বর্মা। কিন্তু যদি কোভিডের সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে এবারও ভক্তদের ছাড়াই রথযাত্রার উৎসব আয়োজিত হবে। সেক্ষেত্রে এবারও টিভির পর্দাতেই জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার যাত্রা দেখা ছাড়া আর উপায় নেই ভক্তদের।
এদিকে গত দু`বছর যেহেতু ভক্তরা রথযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি তাই সব কিছু ঠিক থাকলে এবার প্রায় ১৫ লক্ষ ভক্তের সমাগম হতে পারে পুরীতে। সেই জমায়েতের কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে পুরী প্রশাসন। স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, পুলিশ, নিকাশির মতো বিভিন্ন বিভাগ আগাম প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।
এর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় `অশনি` নিয়েও আগাম প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে ওড়িশার সরকার। ইতিমধ্যেই ওড়িশার ১৮টি জেলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাইক্লোন পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। । প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমেরও ব্যবস্থা করা হতে পারে। এছাড়াও ঝড়ের সময় অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কোন কোন এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তা চিহ্নিত করে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।