বছর শেষে ফের একবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মারন ভাইরাস করোনা। এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যাতে এই ভাইরাস আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই শুক্রবার ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবার বুস্টার ডোজ হিসেবে ন্যাজাল ভ্যাকসিন কতটা দেওয়া উচিত তার মাত্রা ঠিক করে দিল কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিন দেশজুড়ে বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। চারফোঁটা করে মোট আটফোঁটা এই ন্যাজল ভ্যাকসিন দিতে হবে। প্রতি ডোজের মাত্রা থাকবে ০.৫ মিলিলিটার। এই মাত্রার ৮ ফোঁটা জোড নিলেই দেহে করোনা প্রতিরোধক রোগ ক্ষমতা গড়ে উঠবে বলে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
শুক্রবার থেকেই করোনার এই টিকা নেওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালে এদিন থেকে এই টিকা নেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বুস্টার ডোজ হিসেবে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়ে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। তবে যারা কোভ্যাকসিন বা কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছেন তারাই একমাত্র এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।
iNCOVAC-ই বিশ্বের প্রথম ন্যাজাল কোভিড ভ্যাকসিন হিসেবে এই ছাড়পত্র পেয়েছিল। দু`টি ডোজের এই টিকা ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে বলে ঘোষণা করেছিল ভারত বায়োটেক। জানানো হয়েছিল 18 বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই টিকা নিতে পারবে।
সংক্রমণ ছড়াতেই টিকার আবিষ্কার নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সময় আবিষ্কার করে সংক্রমণকে খানিকটা রোখা গিয়েছিল। এবার ফের একবার বছর শেষে যেভাবে উদ্বেগ বাড়াতে শুরু করেছে করোনা তাতে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটাই এবার হতে চলেছে ভারতের নতুন অস্ত্র।