বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একজন শিক্ষক হয়ে নিজের সহকর্মী এবং অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করবেন এমনটাই তো কাম্য। কিন্তু এর ঠিক উল্টো ছবি দেখা গেল। সেদিন স্কুলে সবে পা রেখেছিলেন ওই স্কুলেরই এক শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুলে ঢুকতেই জুটলো চটির আঘাত। অভিযোগ, স্কুলের প্রধানশিক্ষক ওই পার্শ্বশিক্ষককে (শিক্ষা মিত্র) চটি দিয়ে মারতে শুরু করেন। এরপরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনার ভিডিও। সাসপেন্ড করা হয় প্রধানশিক্ষককে।
শুক্রবার এই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির মহানগুখেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও স্কুলে উপস্থিত হন পার্শ্বশিক্ষক সীমা দেবী। কিন্তু এরপর আচমকাই তাঁকে চটি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করেন ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক অজিত কুমার। এমন ঘটনায় তাজ্জব হয়ে যান ওই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
ঠিক কী কারণে সীমা দেবীকে মারধর করেন প্রধানশিক্ষক? সেই বিষয়টি অবশ্য একেবারেই স্পষ্ট নয়। এমন ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে সেই প্রসঙ্গে কোনও ধারণা দিতে পারেননি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক লক্ষ্মীকান্ত পাণ্ডেও। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানশিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। একজন শিক্ষক হয়ে অপর একজন শিক্ষককে এভাবে জুতো দিয়ে মারা একেবারেই উচিত নয়। এহেন ঘৃণ্য কাজ করে শিক্ষা দফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন ওই অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক। লক্ষ্মীকান্ত পাণ্ডে আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যদি কোনও স্কুলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না। আর কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ উঠলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।