বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ডিজে থেকে শুরু করে মহাভোজ। বিয়েতে যা প্রয়োজন তার যাবতীয় ব্যবস্থাপনাই করা হয়েছিল। বিয়ে দিতে নিয়ে আসা হয়েছিল পুরোহিতকে। ছিল ঢালাও মদের ব্যবস্থাও। কাল্লু আর বসন্তীর বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সে এক মহা ধুমধাম।
প্রাথমিকভাবে এই বিয়ের আয়োজন দেখে মনে হবে কোনও সাধারণ মানুষের বিয়ের আসর বসেছে। তবে না। মানুষের বিয়ে নয়, বরং দুই কুকুরের বিয়ে দিতেই এই ঢালাও আয়োজন। কাল্লু ও বসন্তী নামক দুই কুকুরের বিয়েতে রীতিমতো আনন্দ-উদযাপনে মেতে উঠলেন বিহারের মতিহারির মজুরাহ গ্রামের বাসিন্দারা।
কাল্লু ও বসন্তী রাস্তার কুকুর নয়। ওই এলাকার বাসিন্দা নরেশ সাহানি নামক এক ব্যক্তির পোষা তারা। একদম ছোট থেকেই নিজের হাতে সন্তানস্নেহে বড় করেছেন তাদের। বাবা-মা যেমন সন্তানদের বিয়ে দিয়ে থাকেন সেই মতো দুই পোষ্যের বিয়ে দিতেও কোনওরকম ত্রুটি রাখেননি তিনি। বিয়ের ধর্মীয় আচারবিধি মেনেই শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয় কাল্লু ও বসন্তির।
এদিন বিয়ে উপলক্ষে বসেছিল নাচ-গানের আসর। এসেছিল ডিজে। খাওয়া-দাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা করেছিলেন নরেশ সাহানি। নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৪০০ জনেরও বেশি। তবে কেবল মানুষ নয়, কুকুরের বিয়েতে পাড়ার অন্যান্য কুকুরদেরও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
কাল্লু-বসন্তীর বিয়ে দিতে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্রকুমার পান্ডে নামক এক পুরোহিত। তাঁর মতে কুকুরগুলি হল ভৈরবের রূপ। তাই যদি দুই কুকুরের যদি বিয়ে দেওয়া যায় তাহলে নাকি মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। এমনকি ঘাড় থেকে নামে পাপের বোঝাও। তবে মনোবাঞ্ছা পূরণ ও পাপ কমার বিষয়টি দূরে থাক। কুকুরের বিয়েতে কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে গ্রামবাসীরা যে আনন্দে উচ্ছ্বসিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি নবদম্পতিকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদও করেছেন তারা।