বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি বছরের ৩১ অক্টোবরই আহমেদাবাদ থেকে আসারওয়া-উদয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ১৩ নভেম্বর, ট্রেনটি আসার কয়েক ঘণ্টা আগেই, ট্রেনের লাইনে ফাটল ধরা পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, ‘ডেটোনেটর’ ব্যবহার করে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে লাইনে। এদিকে, লাইনে ফাটল ধরা পড়ার পরেই দুঙ্গারপুর স্টেশনে ট্রেনটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নাশকতা-সহ সব ধরনের সম্ভবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, জানা গিয়েছে, উদয়পুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ওধা ব্রিজের ওপরে ঘটনাটি ঘটেছে। রেললাইনে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে? জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনাটি ঘটেছে উদয়পুরের জাওয়ার মাইনস থানার অন্তর্গত ‘কেওদা কি নাল’-এর কাছে। ওধা সেতুর কাছেই রেল লাইনে ফাটল ধরা পড়ে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় থানার এসএইচও অনিল কুমার বিষ্ণোই বলেছেন, “স্থানীয় মানুষ এদিন সকালে বিস্ফোরণের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা ট্র্যাকে কিছু বিস্ফোরক খুঁজে পেয়েছি। দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এদিকে, উত্তর-পশ্চিম রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ক্যাপ্টেন শশী কিরণ জানিয়েছেন, ‘রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ তথ্য পাওয়া যায় যে ডেটোনেটর ব্যবহার করে রেললাইনের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টার দিকে ট্র্যাকম্যানরা ঘটনাটি জানায়। এরপরই খতিয়ে দেখা জন্য রেলকর্মীদের একটি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
অন্যদিকে, উদয়পুরের পুলিশ সুপার বিকাশ শর্মা বলেছেন যে, নাশকতার পাশাপাশি সমস্ত দিক তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছ। এর সঙ্গে রেললাইন মেরামতের কাজও চলছে। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ডেটোনেটর এবং গানপাউডার উদ্ধার করা হয়েছে। এর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, এই বিস্ফোরণে ‘সুপারপাওয়ার ৯০’ ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় ফরেন্সিক ও সন্ত্রাসদমন স্কোয়াড। ইতিমধ্যেই এই বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে একযোগে এটিএস, এনআইএ ও আরপিএফ।
এছাড়া রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, এই ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাই পুলিশের ডিজি উমেশ মিশ্রকে তদন্তের স্বার্থে সবদিক খতিয়ে দেখার পাশাপাশি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।