বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লির কানঝাওয়ালাকাণ্ডে এবার প্রশ্নের মুখে নিহত তরুণীর সঙ্গে থাকা বান্ধবীর ভূমিকা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বর্ষবরণের রাতে বান্ধবীকে নিয়ে একটি হোটেলে যান মৃত তরুণী। সেখানেই তাঁরা ঘর ভাড়া নেন। ওই হোটেলের ম্যানেজার মঙ্গলবারই পুলিশকে জানিয়েছেন যে, ঘটনার দিন রাতে দুই বান্ধবীর মধ্যে বচসা বাধে। হোটেল ম্যানেজার তাঁদের উভয়কে ঝগড়া বন্ধ করতে বললে দুজনেই হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে যান।
অন্যদিকে, হোটেলের কর্মীরা ওই দুই তরুণীকে আরও কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথা বলতেও দেখেন বলেও জানা গিয়েছে। ওই যুবকরাও একই হোটেলের অন্য একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। এর তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই ওই যুবকদেরও জেরা করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, ওই হোটেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনার বলি হন তরুণী।
ঠিক কী ঘটেছিল দুর্ঘটনার দিন রাতে? ওইদিন মৃত তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবীও। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, অভিযুক্তদের গাড়ির সঙ্গে তরুণীর স্কুটির ধাক্কায় দ্বিতীয় তরুণীও সামান্য জখম হয়েছেন। তবে, দুর্ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে চলে যান তিনি। পুলিশ ওই তরুণীর বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হোটেল থেকে রাত দেড়টা নাগাদ নিউ ইয়ার পার্টি সেরে বেরোন দুই বান্ধবী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হোটেল ছাড়ার পর মৃত তরুণীর বান্ধবী স্কুটি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁরা আসন বদল করেন।
এদিকে, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনার পর তরুণীর পা গাড়ির অ্যাক্সেলে আটকে গিয়েছিল। ওই অবস্থাতেই প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা তরুণীকে নিয়ে ছোটে ঘাতক গাড়িটি। পরে তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। মেয়ের পোশাক এভাবে ছিঁড়ল কেন? দুর্ঘটনার নেপথ্যে যৌন নির্যাতনের ঘটনা থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেছিলেন মৃত তরুণীর মা। কিন্তু ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির এই দুর্ঘটনার ঘটনায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর কথা ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে দুই অভিযুক্ত স্বীকার করেছে বলেই খবর। ধৃত দীপক খান্না পুলিশকে জানিয়েছে যে, ঘটনার রাতে দুর্ঘটনার পর গাড়ির চাকায় কিছু আটকে থাকার কথা বললেও সঙ্গীরা তাঁকে গাড়ি চালিয়ে নেওয়ার কথাই বলে। এরপর কানঝাওয়ালার জন্টি গ্রামের কাছে ইউটার্ন নিতে গিয়ে প্রথমে এক অভিযুক্ত চাকায় আটকে থাকা তরুণীর হাত দেখতে পায়। কিন্তু তারপরেও গাড়ি থামায়নি অভিযুক্তরা।