বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিজের বাবাকে খুন নাবালক ছেলের। ছেলের বয়স ১৭ বছর। তাঁর বাবা রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এ কর্মরত। এই আরপিএফ কর্মীই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়শই নিজের স্ত্রীকে মারধর করতেন। এমনটাই অভিযোগ। এদিকে, দিনের পর দিন চোখের সামনে মাকে অত্যাচারিত হতে দেখে, বাবার প্রতি মনে ভয়ঙ্কর রাগ জন্মেছিল নাবালক ছেলের।
সেই রাগের বশবর্তী হয়েই বেলনা দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে খুন করে ছেলে। তবে, গ্রেফতার হওয়ার পর, মৃত আরপিএফ কর্মীর নাবালক ছেলে জানিয়েছেন, বাবাকে খুন করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু বাবাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। এদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বেলনা দিয়ে বাবার মাথায় একটানা ২০ বার আঘাত করে ওই নাবালক ছেলে। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই আরএফ কর্মীর। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে নয়া দিল্লিতে।
পুলিশ জানিয়েছে প্রতিদিনই মৃত আরপিএফ কর্মী মদ খেয়ে বাড়ি ফিরতেন এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। সম্প্রতি একদিন রাত ১০ টা নাগাদ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন ওই ব্যক্তি। বাড়ি ফিরেই স্ত্রীকে মারতে শুরু করেন। মাকে মার খেতে দেখে, হাতের কাছে রুটি বেলার বেলনা দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে নাবালক ছেলে। এতেই গুরুতর জখম হন ওই আরপিএফ কর্মী।
এরপর তাঁকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গেই ভরতি করা হয়েছিল পাহাড়গঞ্জ নর্দান রেলওয়ে হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার সময়ই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ কর্মীর। ওই আরপিএফ কর্মীর মৃত্যুর পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকেই পুলিশে সবটা জানানো হয়। ম্যনাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, ওই আরপিএফ কর্মীর দেহে মোট ১৯ টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। পাঁজরের বেশ কয়েকটি হাড়ও ভাঙা ছিল। পাশাপাশি ব্রেন ড্যামেজ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর কলসি থানার পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে এবং মৃতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় ওই নাবালককে। তাঁকে জেরা করতেই আসল সত্যি সামনে আসে।