বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে ক্রমশ। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছিল ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই জানিয়েছেন, টিকাকরণের উপর আরও বেশি করে জোর দিতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই একমাত্র উপায়। তাই আগামীদিনে টিকাকরণ এবং বুস্টার ডোজের উপর আরও জোর দিতে গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। কিন্তু এখনও দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় নেয়নি করোনা। এর মধ্যেই ক্রমশ বারছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের বক্তব্য একটু অসতর্ক হলেই বিপদ বাড়তে পারে আবার। এদিকে, এর মধ্যেই দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত।
দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিন ধরেই দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১০ জন। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬২৮ জন। যা গতকালের থেকে বাড়ল। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। মৃতের সংখ্যা গতকালের থেকে অতি সামান্য কমেছে। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৯ জন।
এতদিন সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছিল যেটা, সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। পরপর বেশ কিছু সময় ধরেই কমছিল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। কিন্তু গত কিছু সময় ধরেই তা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ফের বেড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৮১৪ জন। গতকাল দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৪১৪ জন। আপাতত অ্যাকটিভ কেসের হার দাঁড়িয়েছে ০.০৪ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৭ হাজার ১৭৭ জন।
করোনার মোকাবিলায় এখনও চলছে টিকাকরণ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১৯২ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৭৩ জনের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা দেওয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৭২ জনের। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে পাশাপাশি চলছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও। দেশজুড়ে চলছে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি। পাশাপাশি সম্প্রতি ষাটোর্ধ্বদের জন্য ‘প্রিকশন ডোজ’ অর্থাৎ বুস্টার ডোজে ছাড়পত্র দিয়েছে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।