বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নতুন বছর শুরু হয়েছে সেই করোনার আতঙ্ককে সঙ্গে নিয়েই। তবে, এই মুহূর্তে ধীরে ধীরে কমছে তৃতীয় ঢেউয়ের গতি। এদিকে, করোনার নতুন স্ট্রেনের দাপট রুখতে কেন্দ্রের পুরনো টেস্টিং এবং ট্রাকিং নীতিতেই আস্থা রাখছেন মোদী। পাশাপাশি জোর দিতে বলছেন টিকাকরণেও। এই মুহূর্তে দেশের একাধিক শহরে কড়া বিধিনিষেধ জারি এবং সতর্কতার মধ্যেই চলছে করোনাকে বাগে আনার চেষ্টা। এদিকে, চলতি মাসের শেষেই করোনার সংক্রমণের শিখর ছুঁতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এই উৎকণ্ঠার মধ্যেই দেশের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ বেশ কয়েকদিন ধরেই নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হল না। গত ২৪ ঘণ্টায় একধাক্কায় ফের বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃতের সংখ্যার ঊর্ধ্বমুখী ধারা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৩৩ জন। যা আগের দিনের থেকে ৬.৮ শতাংশ বেশি। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল, ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮৬ জন। এদিন দেশের পটিজিভিটি রেট কমে হয়েছে ১০.৯৯ শতাংশ। সেটাই বেশি চিন্তায় রাখছে চিকিৎসকদের। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের অধিকাংশ বড় রাজ্যেই কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, কেরল ও কর্ণাটকের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা এখনও চিন্তার। এদিকে, ভয় ধরাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ১০০৮ জনের। যদিও এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে কম। গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩৩ জন। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯৮৩ জন।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯২১ জন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ৮৭ হাজার কম। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৯৭ লক্ষ ৭০ হাজার ৪১৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ১০৭ জন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬৭ কোটি ৫৫ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৪৯ জনের। এত কম সময়ে এই বিপুল অঙ্কের টিকাকরণকে নজির বলেই মনে করছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও অবশ্য স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকেই শুরু হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। পাশাপাশি ১০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ষাটোর্ধ্ব এবং ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের প্রিকশন ডোজও। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। কড়া কোভিডবিধি এবং টিকা-এই দুই অস্ত্রের উপর ভর করেই করোনাযুদ্ধে এগোচ্ছে দেশ।