বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। তবে, গত কয়েকদিন একটু একটু করে ফের বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, ফের করোনা গ্রাফে উন্নতি দেখা দেয়। দেশে এই মুহূর্তে ৫ হাজারের নিচে রয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। বুধবার দেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য বাড়ার পর, গত ২৪ ঘণ্টায় ফের কমল করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পাশাপাশি অনেকটাই কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৪ জন। যা গতকালের তুলনায় কম। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫৭৫ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের। গতকাল দেশে করোনার মৃত্যু হয়েছিল ১৪৫ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৫৯ জনের।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কিছু সময় ধরেই কমছে দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪৮৮। অ্যাকটিভ কেসের হার কমে দাঁড়িয়েছে ০.১০ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৪ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ২০ হাজার ১২০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
করোনার মোকাবিলায় এখনও চলছে টিকাকরণ। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৭৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৪৯ জনের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। সব মিলিয়ে দেশে করোনা গ্রাফ স্বস্তিজনক জায়গায় রয়েছে। এদিকে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে করোনাবিধি শিথিল করা হচ্ছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার কাজ চলছে পাশাপাশি চলছে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের আসায় খুলেছে ছোটদের স্কুল। করোনার গ্রাফ বলছে ধীরে ধরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে দেশ। তাও বিশেষজ্ঞরা এখনও করোনাবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া সবথেকে বড় স্বস্তির খবর, প্রথমে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা বলা হলেও, গবেষকরা জানাচ্ছেন যে, দেশে চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।