বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ক্রমশ কমছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন একটু একটু করে আক্রান্তের সংখ্যা কমার সঙ্গে সঙ্গে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেটও। দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা আগেই নেমেছিল এক লক্ষের নিচে। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৩০ হাজারের নিচে। করোনার তৃতীয় ঢেউ যে স্তিমিত, তা আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন। এবার করোনার পরিসংখ্যানে তা আরও একবার প্রমাণিত হল। পাশাপাশি স্বস্তি দিয়ে কমছে মৃতের সংখ্যাও। যা বেশ কয়েকদিন ধরেই চিন্তায় রেখেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং বিশেষজ্ঞদের। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বড় কোনও পরিবর্তন হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪০৯ জন। যা গতকালের তুলনায় ফের অনেকটাই কম। গতকাল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪ হাজার ১১৩ জন। বর্তমানে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.২৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪৭ জন। গতকাল দেশে মৃত্যু হয়েছিল ৩৪৬ জনের।
এই মুহূর্তে যে সংখ্যাটা সরকারকে সবচেয়ে স্বস্তি দিচ্ছে সেটা হল অ্যাকটিভ কেস। অ্যাকটিভ কেস আগের মতোই নিম্নমুখী। এই নিয়ে পরপর বেশ কয়েক সপ্তাহ কমল দেশের চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টাতেও স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১২৭ জন। যা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮১৭ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যা অবশ্যই আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ১৭ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৫৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, দেশে এখনও পর্যন্ত ১৭৩ কোটি ৪১ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। সব মিলিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও, অবশ্য এখনই স্বস্তির জায়গা নেই বলেই মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সবরকম সতর্কতা না অবলম্বন করলে, ফের বাড়তে পারে সংক্রমণ। তবে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে করোনা বিধি শিথিল করা হচ্ছে। ছোটদের স্কুলও খুলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাতেও ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছ সরকার।