বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীকে তলব করেছিল ইডি। এদিকে, রাহুল গান্ধীর ইডি’র দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগেই উত্তেজনা ছড়াল রাজধানীতে। আজ সকালেই উক্ত মামলায় ইডি’র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা রাহুল গান্ধীর।
এদিকে, তাঁর প্রতি সমর্থন দেখাতেই আজ তাঁর বাড়ির বাইরে সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। এরপর মিছির শুরু করার প্রস্তুতি নিতেই আটক করা হয় কংগ্রেস সমর্থকদের। জোর করে কংগ্রেস সমর্থকদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তজেনা ছড়ায়।
রবিবারই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, বর্তমান সাম্প্রদায়িক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই, কোনভাবেই কোনওরকম মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। আবার উল্টোদিকে, কংগ্রেস নেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা দিল্লি পুলিশের কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাবেন। কিন্তু পরে সেই অনুরোধ জানানো হলেও, মিছিল করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখা হয়নি যথারীতি। সেক্ষেত্রে মিছিল করার ব্যাপারে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়।
এদিকে, এদিন সকালেই কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দলের কোনও কর্মসূচী বাতিল হয়নি। গোটা দেশব্যাপী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধর্না এবং মিছিল করা হবে। সকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর বাড়ির বাইরে ভিড় করতে শুরু করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। তবে, সেখানে আগেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল জমায়েতের আশঙ্কা করেই। এরপর সমর্থকেরা রাহুল গান্ধীর নামে স্লোগান দিতে শুরু করলে এবং মিছিল শুরু করার চেষ্টা করলেই, তাঁদের প্রত্যেককে আটক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী শামা মহম্মদ বলেন, ‘রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করা থেকে আমাদের আটকানো হচ্ছে কেন? এখানে এতো সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দেখুন, আমি তো আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি।’
হাত শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করেই কেন্দ্রীয় সরকার রাহুল গান্ধীকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধীর সমর্থনে গোটা দিল্লি জুড়ে ‘আই অ্যাম রাহুল গান্ধী’ এবং ‘ডিয়ার মোদী অ্যান্ড শাহ, রাহুল গান্ধী আপনাদের সামনে মাথা নোয়াবে না’- ইত্যাদি নানা পোস্টার দেখা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থকেরা আকবর রোডের কংগ্রেসের সদর দফতরে এবং ইডির দফতরের সামনে জড়ো হবেন। এদিকে, ইডি’র দফতরের সামনেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া করা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এবং প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।