বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শেষপর্যন্ত হাসপাতালে ভরতি করতে হল করোনা আক্রান্ত সোনিয়া গান্ধীকে। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণেই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। চলতি মাসের ২ তারিখ কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকে তিনি হোম আইসোলেশনেই ছিলেন। কিন্তু রবিবার তাঁকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভরতি করা রয়েছে। টুইট করে সোনিয়া গান্ধীর হাসপাতালে ভরতি খবর জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইট করে জানিয়েছেন, ‘করোনা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁকে হাসপাতালে রাখা হচ্ছে পর্যবেক্ষণের জন্য। যারা ওঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন, তাঁদের সকলকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’ জানা গিয়েছে, চিকিৎসকেরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
কংগ্রেস সভানেত্রীর করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, নেত্রী সুস্থ আছেন। তাঁর শরীরে কোভিডের উপসর্গ খুবই সামান্য। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কংগ্রেস সভানেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটল? এমনিতেই বেশ কিছু সময় ধরে তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তাঁর চিকিৎসাও চলছে। এই অবস্থায় দলের সভানেত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় দলের সকল সদস্য থেকে সমর্থকেরা।
এদিকে, সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে ভরতি হওয়ায় আগামী দিনে তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আগামী ১৫ জুন রয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, চলতি মাসে ১ তারিখ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধি ও সোনিয়া গান্ধিকে তলব করেছিল ইডি। প্রথমে ৮ জুন সোনিয়া গান্ধীর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও, করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় তা সম্ভব হয়নি। এরপর তাঁকে ফের নতুন করে সমন পাঠিয়ে আগামী ২৩ জুন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় ইডি-র দফতরে। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি হাসপাতালে ভরতি হওয়ায় সেই হাজিরা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।