আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। তার আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের সেই রাজ্যে গিয়ে জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। এবার সেখানে গিয়ে কর্মী সভায় যোগদান করে বড় হুংকার দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলকে অবহেলা করার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, "কেন বিজেপি এই অঞ্চলকে অবহেলা করে! কেন দিল্লি আর গুয়াহাটি থেকে মেঘালয়কে শাসন করার চেষ্টা করবে? আমরা চাই এই মাটির সন্তানরাই মেঘালয় শাসন করবে। বাইরের লোকরা নয়"।
মমতা আরও বলেন, "গুলিতে মেঘালয়ের ৫ জনের মৃত্যু হল। মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন? তাদের চাকরি দিয়েছিলেন? আমাদের রাজ্যেও অনেককিছু হয়। আমরা চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। ভোটের আগে বিজেপির অনেক নেতাই এখানে আসেন। অনেক কথাই বলেন। ভোট ফুরোলে কী হয়? আমাদের রাজ্যে যেসব সামাজিক প্রকল্প রয়েছে তা অন্য রাজ্যে নেই। তুলনা করে দেখুন। তৃণমূল এখানে জিতলে বাংলার মতো সব প্রকল্প চালু হবে।"
শিলংয়ের কর্মীসভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "তৃণমূল শুধুমাত্র বাংলায় সীমাবদ্ধ নয়। তারা সর্বভারতীয় দল"। তৃণমূলকে বাংলার দল বলে প্রচারের জন্য এদিন বিজেপিকেই কটাক্ষ করেন তিনি। যদিও তৃণমূলকে বাংলার দল হিসেবে তোপ দেগেছে এনপিপিও। এই দলে নাম লিখিয়েছে বিজেপির শাসক জোটও।
এদিন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একটা গুজব আছে। তৃণমূল কংগ্রেস নাকি শুধু বাংলার দল। বাংলা থেকে হলেই জাতীয় দল নয় কেন? আমরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারা বাঙালি। নেতাজি, মাদার টেরেজা- এদের শুধু বাঙালি ভাববেন নাকি? বিজেপি খালি জাত পাতের রাজনীতি করে। বিজেপি অনেক চেষ্টা করেও আমাদের হারাতে পারেনি। মেঘালয়তেও পারবে না। সব ভোট আসলেই বিজেপি রাজনীতি শুরু করে। জেনে রাখুন তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবাংলার শুধু নয়। তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয়।"
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৩ সালে মেঘালয়ের পাশাপাশি নির্বাচন রয়েছে ত্রিপুরাতেও। তাই মেঘালয় যদি তৃণমূল ভালো ফল করতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে ত্রিপুরাতেও তাদের ঘাটি অনেকটাই শক্ত হবে। এদিকে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে হাড়ের পর নির্বাচন কমিশনের সর্বভারতীয় তকমা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। তাই মেঘালয়ের নির্বাচনে ভালো ফল করার তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।