বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে শেষ হাসি হাসলেন হেমন্ত সোরেনই। অগ্নিপরীক্ষায় জয়লাভ করলেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের আস্থা ভোটে জিত হল তাঁরই। হার মানল বিজেপি। আস্থা ভোটে জিতে ঝাড়খণ্ডে সরকার টিকিয়ে রাখল হেমন্তর দল।
এদিন ঝাড়খণ্ড বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসে। সেখানে ৮১ টির মধ্যে ৪৮ টি ভোট পায় ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোট। এরপরই বিধানসভা থেকে ‘ওয়াক আউট’ করেন বিজেপি বিধায়করা। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার জোট সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। এমনটাই অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এদিনও বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, ‘আমরা শুনেছি লোকে জামাকাপড় কেনে, রেশন কেনে। বিজেপি শুধু বিধায়ক কেনে।’
যদিও এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পরেও, আস্থা ভোটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস জোট। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আজকের এই বিশেষ অধিবেশনে পুরো সময় জুড়েই দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে হেমন্ত সোরেনের সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। এরপর একটা সময়ে বিজেপি বিধায়করা উত্তেজিত হয়ে ওয়াকআউট করেন বিধানসভা থেকে।
অন্যদিকে, এদিন আস্থা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘নির্বাচন জেতার জন্য দাঙ্গায় ইন্ধন দিয়ে দেশে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি।’ তিনি অভিযোগ করেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর সরকার ফেলতে বিধায়ক কেনার চেষ্টাও করেন। বিজেপিকে আক্রমণ করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীরা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় মেতে রয়েছে বিজেপি…বিধানসভায় আমরা শক্তিপ্রদর্শন করব।’ উল্লেখ্য, বিজেপি যাতে তাঁর দলের বিধায়কদের কিনতে না পেরে, তার জন্যই ক’দিন আগেই দলের বিধায়কদের ছত্তিশগড়ে পাঠান হেমন্ত সোরেন। বেশ কিছুদিন সেখানেই ছিলেন জেএমএম বা ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার বিধায়করা।
প্রসঙ্গত, খনি দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে খোদ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। এই মামলায় সোরেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিধায়ক পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই হেমন্ত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়ে চরম অস্বস্তিতে হেমন্ত সোরেন। এরপরেও ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা এখনও ৪৯। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডের মুক্তি মোর্চা বিধায়ক সংখ্যা ৩০। অন্যদিকে, জোটসঙ্গী কংগ্রেসের ভোট সংখ্যা ১৮ জন। আর আরজেডি বিধায়ক ১। আর বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৬ জন।