আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। তার আগে প্রস্তুতি বৈঠক সারতেই দুদিনের সফরে উত্তরপূর্ব ভারতের সেই রাজ্যে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই রাজ্য থেকে ফেরার পথে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিত পূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুদিনের সফল সেরে দিন শিলং থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুদিন রাজনৈতিক প্রচারের পাশাপাশি বুধবার সকাল থেকেই শিলং জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। এরপরেই আসার সময় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আশার কথা শোনালেন দলনেত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, ‘‘মেঘালয় নিয়ে আশা তো আছে৷ আশা নিয়েই তো মানুষ বাঁচে।’’ এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মুকুল সাংমা, চার্লস পিংরোপ-সহ তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ দিন দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
গতকালই তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একটা গুজব আছে। তৃণমূল কংগ্রেস নাকি শুধু বাংলার দল। বাংলা থেকে হলেই জাতীয় দল নয় কেন? আমরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তারা বাঙালি। নেতাজি, মাদার টেরেজা- এদের শুধু বাঙালি ভাববেন নাকি? বিজেপি খালি জাত পাতের রাজনীতি করে। বিজেপি অনেক চেষ্টা করেও আমাদের হারাতে পারেনি। মেঘালয়তেও পারবে না। সব ভোট আসলেই বিজেপি রাজনীতি শুরু করে। জেনে রাখুন তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবাংলার শুধু নয়। তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয়।"
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৩ সালে মেঘালয়ের পাশাপাশি নির্বাচন রয়েছে ত্রিপুরাতেও। তাই মেঘালয় যদি তৃণমূল ভালো ফল করতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে ত্রিপুরাতেও তাদের ঘাটি অনেকটাই শক্ত হবে। এদিকে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে হাড়ের পর নির্বাচন কমিশনের সর্বভারতীয় তকমা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। তাই মেঘালয়ের নির্বাচনে ভালো ফল করার তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।