বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই একাধিক বদল এসেছে মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায়। ব্যক্তিগত জীবনে যেমন পরিবর্তন এসেছে, তেমনই কর্মজীবনেও এসেছে নানা পরিবর্তন। করোনাই কারণেই শুরু হয়েছে ঘরে বসে কাজ করার পরিস্থিতি। এখন অনেকেই এই বাড়ি থেকে কাজ করার এই নয়া কর্ম সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ফের একবার সরকারি কর্মীদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এরই মধ্যে এক নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল যে, সরকারি কর্মীদের কাজের সময়সীমা এবার ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করে দেওয়া হবে। তবে, সেই জল্পনায় ইতি পড়ল বৃহস্পতিবারই। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল যে, কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের কাজের সময়সীমা ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করার কোনও পরিকল্পনা নেই। এই ধরনের কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিবেচনাও করা হচ্ছে না।
করোনা সংক্রমণের পরপর ঢেউ আছড়ে পড়ায়, কর্মজীবনে ব্য়াপক বদল এসেছে। একদিকে যেমন সরকারি কর্মীদের জন্যও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে, তেমনই আবার অনেক কর্মীই অভিযোগও করেছেন যে, বাড়িতে বসে কাজের যেমন সুবিধা আছে, তেমনই অন্যতম অসুবিধা হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করা। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও অনেককেই কাজ করতে হচ্ছে।
এরপরই জল্পনা শুরু হয়, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে কর্মীরা পুরোপুরিভাবে কাজে ফিরলে কর্মপদ্ধতির কাঠামোই পুরো বদলে ফেলা হবে। এও শোনা যায়, এবার থেকে সরকারি কর্মীদের শুধু সপ্তাহে চারদিন কাজ করতে হবে, বাকি তিনদিন ছুটি থাকবে। তবে যে চারদিন তারা কাজ করবেন, সেই দিনগুলিতে তাদের কাজের মেয়াদ ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘণ্টা হবে।
গতকালই সংসদের রাজ্যসভায় এক সাংসদ প্রশ্ন তোলেন যে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মীদের কাজের সময় কি ৮ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘণ্টা করার কোনও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে?’ এই প্রশ্নের জবাবেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং লিখিত জবাবে জানান, এই ধরনের কোনও প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে না কেন্দ্র সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ফের একবার অফিসে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি। এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রের সরকারি কর্মীদের জন্য ঘরে থেকে কাজের কোনও ‘অপশন’ রাখার সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের হাত থেকে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে করোনাবিধি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।