বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশে কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই দেশে ১০ লক্ষের চাকরি হবে। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সমস্ত সরকারি দফতর এবং মন্ত্রকগুলিতে মানব সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন। এরপরেই আগামী দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেই টুইট করে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটি মন্ত্রকে এবং বিভাগগুলিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলির কাজের ধরন বুঝেই, নিজুক্ত করা কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ‘মিশন মোড’।
টুইটে আরও জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রের প্রতিটি মন্ত্রকেই মানব সম্পদের কর্মী প্রয়োজন। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে, বর্তমানে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই, মানব সম্পদের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকেও।
ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকের ২ মাসেরও বেশি সময় পরে এই নির্দেশ এসেছে। পর্যালোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবদের নির্দেশ দেন, যাতে দ্রুত বিভিন্ন দফতরে এবং মন্ত্রকে কর্মী নিয়োগ করা হয়।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ২ এপ্রিল সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের সময়, কর্মসংস্থানের উপর বেশি করে জোর দেন মোদী। তিনি বলেন, সরকারি এবং বেসরকারি খাতে সমস্ত সরকারি হস্তক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত কর্মসংস্থান। এরপরই ক্যাবিনেট সচিব অন্যান্য সচিবদের চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ এবং নির্দেশ অনুযায়ী অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেন।
ক্ষমতায় আসার সময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কর্মসংস্থান নিয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তেমনটা বাস্তবে হয়নি। এই অভিযোগই বারবার করে এসেছে বিরোধীরা। বিভিন্ন সরকারি ক্ষেত্রে প্রচুর সংখ্যক শূন্য পদকে বারবার নিশানা করেছে বিরোধীরা। এবার বেকারত্বের প্রশ্নে বিরোধীদের যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিতেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলেই ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত।
অন্যদিকে, এই ঘোষণার পর ফের কটাক্ষের পথে হাঁটল হাত শিবির। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা টুইটে বলেন, “কর্মসংস্থানে এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে দেশ। মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর প্রধানমন্ত্রী শুধু ‘টুইটার টুইটার’ খেলছেন! ”