বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘক্ষন ধরে বিয়ের মন্ডপে পাত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন পাত্রী। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পাত্রর দেখা নেই। এরপর বেশ কয়েক ঘন্টা পর যখন পাত্র এসে বিবাহবাসরে উপস্থিত হন ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে লগ্ন। তার ওপরে মত্ত অবস্থায় পাত্রীপক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি, বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে রেগে আগুন পাত্রীর বাবা। আগের ঠিক করা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে বাতিল করে মণ্ডপে উপস্থিত এক আত্মীয়র সঙ্গেই বিয়ে দিলেন মেয়ের।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলায় মালকাপুর পাংরা গ্রামে। সূত্রের খবর, গত ২২ এপ্রিল বিয়ের তারিখ ছিল। লগ্ন ছিল বিকেল ৪ টেয়। সেইমতো বিয়ের জোগাড়ও সম্পন্ন। সময়মতো মন্ডবে উপস্থিত হন পাত্রীপক্ষ। কিন্তু পাত্রেরই তো দেখা নেই! যেখানে ৪ টেয় বিয়ের লগ্ন ছিল সেখানে বর এসে উপস্থিত হন রাত ৮ টা নাগাদ।
পাত্রর দেরী করে আসার কী কারণ ছিল? জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে বর তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মত্ত হয় উল্লাস করতে ব্যস্ত ছিলেন। যার জেরে সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি বিয়ের মন্ডপে। পাত্রীর মা জানান, রাত যখন ৮ টা বাজে তখন বিয়ের পাত্র তাঁর বন্ধুদের নিয়ে এসে পাত্রীপক্ষর সঙ্গে ঝগড়া-মারামারি শুরু করেন। তারা সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার জেরে বেজায় চটে যায় পাত্রীপক্ষ।
দেরী করে হলেও বিবাহ বাসরে উপস্থিত হয়েছিলেন পাত্র। কিন্তু পাত্রীর বাবা এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে কোনওভাবেই রাজি হন না। তাহলে কী হবে? আমাদের সমাজে তো আবার মেয়েদের লগ্নভ্রষ্টা হওয়ার ব্যাপার স্যাপার আছে। কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক আত্মীয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপর ওই আত্মীয়ের সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়েন বিয়ের পাত্রী।
এই প্রসঙ্গে পাত্রীর বাবা জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৪ টেয়। কিন্তু পাত্র তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে নাচতে ব্যস্ত থাকায় রাত ৮ টায় বিয়ের মন্ডপে এসে পৌঁছান। বরের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। এরপরই তিনি তাঁর মেয়েকে অন্য এক আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেন।