বিয়েবাড়ি মানেই হই-হট্টগোল, মহা ধুমধাম। চারদিকে সাজো সাজো রব৷ বিবাহ বাসরে বর-কনেকে নিয়ে রীতিমতো মেতে ওঠেন আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবের দল৷ কিন্তু বিয়ের মঞ্চেই যদি আচমকা ঘটে যায় কোনও বড় দুর্ঘটনা! সেরকমই এক মর্মান্তিক কাণ্ডের সাক্ষী রইলেন লখনউয়ের এক গ্রামের বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথিরা।
হইহই করেই হচ্ছিল বিয়ে৷ বর-কনে, দুই পরিবারই খুশি ছিল৷ বিবাহ আসরে উপস্থিত তখন বর-কনেও। ততক্ষণে মালাবদলও সারা। কিন্তু হঠাতই ছন্দপতন। মালাবদলের পরেই কনের হার্ট অ্যাটাক! আর মুহূর্তেই সব শেষ৷। মিলল না চিকিৎসার সুযোগ, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন কনে৷ শনিবার লখনউ শহরের অদূরে মালিহাবাদের বন্দোয়ানা গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।
তথ্য অনুযায়ী, বন্দোয়ানা গ্রামের রাজপালের মেয়ে শিবাঙ্গীর সঙ্গে বিবেকের বিয়ে হচ্ছিল। স্টেজে পৌঁছে বরকে মালাও পরিয়ে দেয়। তারপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। উপস্থিত থাকা অতিথিরা সকলে ভয় পেয়ে যান। বাড়ির কাছেই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় শিবাঙ্গীকে। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ট্রমা সেন্টারে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
জানা গিয়েছে, বছর ২০-র ওই পাত্রীর আচমকাই হার্ট অ্যাটাক হয়। সেদিন সকাল পর্যন্ত সব ঠিক ছিল৷ তোড়জোড়ও চলছিল জোরকদমে৷ সন্ধ্যায় কনের সাজে উপস্থিত হন তরুণী৷ মালাবদলের পরেই হঠাৎ হৃদরোগ৷ বিবাহআসরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। বাড়ির কাছেই কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ট্রমা সেন্টারে। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মালিহাবাদের এসএইচও সুভাষ চন্দ্র সরোজ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন। পরবর্তীতে ঘটনার তদন্ত করতে একটি টিম পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।