বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দেশে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারীরা। শিশুকন্যাদেরও রেহাই নেই। শিশুকন্যা ধর্ষণের ঘটনার উপরেও লাগাম টানতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। সম্প্রতি স্কুল বাসের মধ্যে এক বছর তিনেকের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওই বাসের চালকের বিরুদ্ধেই। এবার সেই অভিযুক্ত স্কুলবাস চালকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। তাও খাতায়কলমে বেআইনি নির্মাণ দেখিয়ে। পুলিশের উপস্থিতিতেই ভোপালের শাহপুরা এলাকায় হাতুড়ির আঘাতে ভেঙে ফেলা হয় মূল অভিযুক্তের বাড়ি।
উল্লেখ্য, ওই ধর্ষণের ঘটনার সময় বাসেই ছিলেন একজন মহিলা অ্যাটেনডেন্ট। তাঁর উপস্থিতি সত্ত্বেও ঘটনাটি ঘটে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে ফেরার পথে শিশুটির উপরে নির্যাতন করা হয়। এই দু’জনের বিরুদ্ধেই পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। শহরের এক নামি স্কুলের নার্সারির ছাত্রী ওই পড়ুয়া। ঘটনার দিন শিশুটি স্কুল থেকে ফেরার পর, তার মা খেয়াল করেন, মেয়ের পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে। স্কুল ড্রেস খুলে ব্যাগে রাখা অতিরিক্ত জামা পরানো হয়েছে শিশুটিকে। এই বিষয়ে শিশুটিকে প্রশ্ন করা হলে, প্রথমে সে কিছুই বলেনি। শিশুটির স্কুলে ক্লাসের শিক্ষিকা এবংপ্রিন্সিপালের সঙ্গে যোগাযোগ করে পোশাক পরিবর্তনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁরাও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। পড়ে ওই শিশু তার মাকে জানায়, ‘বাসকাকু’ তার পোশাক পরিবর্তন করে দিয়েছে ৷ এতে শিশুটির মায়ের সন্দেহ হয় এবং পরে তার গোপনাঙ্গে ব্যথা শুরু হলে, শিশুটির বাবা-মায়ের সন্দেহ আরও তীব্র হয়। এরপর তার সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেলে তার মাকে ওই শিশুকন্যা মাকে বলে, বাসচালক তাকে বাজেভাবে স্পর্শ করেছে৷ শুধু তাই নয়, মুখ, ঠোঁট, গোপনাঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শের কথা মায়ের কাছে খুলে বলে ওই শিশু ৷
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার হলেও, আজ মঙ্গলবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত শিশুটির বাবা-মা। পুলিশ জানিয়েছে, এর ফলে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষায় সমস্যা হতে পারে। এর জেরে আদতে লাভ হতে পারে ধর্ষকেরই। তবে, ছবি দেখে অভিযুক্ত বাস চালক ও মহিলা অ্যাটেনডেন্টকে চিহ্নিত করছে ওই শিশুটি। এরপরই ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। স্কুলেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল ঘটনার পর। এদিকে, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন ‘দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেও আমার ধারণা স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেয়েছে ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষকে জেরা করবে পুলিশ ৷ যদি দেখা যায় তারা এই জঘন্য অপরাধ লুকোতে চেয়েছে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে৷’ ঘটনাচক্রে স্কুলে সিসিটিভি থাকলেও সেদিনের ফুটেজ পাওয়া যায়নি ৷
অন্যদিকে, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সবিস্তার রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের কাছে ৷ পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে মধ্যপ্রদেশের স্কুলশিক্ষা দফতর ৷