বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তাল দিল্লি। আজ বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লির পথে নেমেছে কংগ্রেস। মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতে জিএসটি বাড়ানোর প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে কংগ্রেস। আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযান করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সময়ই বিজয়চকের কাছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা, শশী থারুরকে আটক করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, কংগ্রেসের আজকের এই মিছিলের জন্য অনুমতি ছিল না। আজকের হাত শিবিরের এই অভিযানের সময় বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
যদিও কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয় সিং বৃহস্পতিবারই এই অভিযান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়গুলি উত্থাপন করার জন্য সমস্ত কংগ্রেস সাংসদরা শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করবেন।’ দলের শীর্ষ নেতারা প্রতিবাদের অংশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবন ঘেরাও করতে প্রস্তুত। এদিকে, যন্তর মন্তর বাদে নয়াদিল্লি জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
আজকের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শশী থারুর-সহ কংগ্রেস সাংসদ, নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু, মিছিল বিজয়চক পৌঁছনোর আগেই পুলিশি ব্যারিকেড অতিক্রম করতেই কংগ্রেস নেতাদের আটক করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই তালিকায় রয়েছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা থেকে শশী থারুর।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও, মূল্যবৃদ্ধি ও একাধিক ইস্যুতে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার পথে নামে কংগ্রেস। এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে এদিন কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘আমরা যা দেখছি, তা আদতে গণতন্ত্রের হত্যা। দশকের পর দশক ধরে ভারত যেভাবে উন্নত হয়েছে, তার সমস্তটাই আজ ধ্বংসের পথে। সব নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যারাই এই একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাঁর উপরই আঘাত নেমে আসছে। জেলবন্দি করা হচ্ছে তাঁদের।’
এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধী এদিন বলেন, ‘দেশের মানুষের সমস্যাগুলি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় কেন্দ্র সরকার। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, সন্ত্রাস, এই ইস্যুগুলি সংসদে উত্থাপন করার প্রয়োজন আছে। সরকারের এজেন্ডা কেবলমাত্র চার-পাঁচ শতাংশের মানুষকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে। এই চার-পাঁচ জন ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার্থেই সরকার চলছে। ধনকুবেরদের স্বার্থেই দেশের অর্থনীতি চালিত হচ্ছে।’
অন্যদিকে, ইডির ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর ভূমিকা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে কংগ্রেস এবং তাঁর মুখ বন্ধ করা যাবে না। সেই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোরও বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।