বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দ্বিতীয় বিশ্ব কোভিড সামিটে বৃহস্পতিবার যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য এই বিশেষ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেলও।
এই বৈঠকে নিজের ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’-এর পরিকাঠামো পুনর্গঠনের উপর গুরত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন যে, এ ব্যাপারে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতেও প্রস্তুত। মারণ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে টিকার জোগান দিয়ে লড়াই করেছে। শুধু তাই নয়, টিকার জোগানের পাশাপাশি ওষুধ, সস্তায় করোনা পরীক্ষার পরিকাঠামো, কোভিড জিনোম সার্ভিলেন্সের কাজও অব্যাহত রেখেছে ভারত। এইসব কিছু নিজের ভাষণে উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারত অসম্ভবকে সম্ভব করে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ নাগরিককে করোনার টিকা দিয়েছে।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে এই ভাইরাসকে পরাস্ত করেছে ভারত। পাশাপাশি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভারতের নানা সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন কাজে এসেছে, সেকথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২১ এর এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মারা গিয়েছেন ৫ লক্ষের বেশি মানুষ। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে করোনাইয় মৃতের সংখ্যা আসলে অন্তত ৪৭ লক্ষ! সরকারি হিসেবের থেকে অনেক অনেক বেশি। যদিও হু-এর এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারত। প্রথম থেকেই ‘হু’ এর এই গণনা পদ্ধতিতে আপত্তি জানিয়েছে ভারত।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ছিল, কী করে একই মডেল ভারতের মতো ভৌগলিক আকার ও জনসংখ্যার দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়? পাশাপাশি কীভাবেই বা তা অল্প জনসংখ্যার দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সকলের জন্য এক গণনাপদ্ধতিতে হিসেবে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলেই জানিয়েছিল। আর এবার সেই মতপার্থক্য থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’-এর পরিকাঠামো পুনর্গঠনের উপর গুরত্ব আরোপ করেন।