বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পাঞ্জাবের পর এবার দক্ষিণের রাজ্য কেরলে ঝাড়ু ঝড় চালাতে অভিনব পথের আশ্রয় নিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেরলে জোট বাঁধলেন এমন এক দলের সঙ্গে তাঁকে সে অর্থে আঞ্চলিক দলও বলা যায় না।
কেরলে কেজরিওয়ালের নয়া জোটসঙ্গী দলের নাম টোয়েন্টি২০ পার্টি। তবে, এই দলই ৭ বছর আগে কেরালার কিঝক্কমবলমের গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে মত ১৯ টি আসনের মধ্যে ১৭ টি আসনে জেতে। এই দলের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য এই দলে কোনও তাবড় তাবড় পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নেই। এই সংগঠনে রয়েছেন একটি কর্পোরেট গোষ্ঠীর সদস্যরা।
এই কর্পোরেট গোষ্ঠীর আসল ঘাঁটি এর্নাকুলামে। কেরলের রাজনীতিতে এদের যাত্রা শুরু প্রায় আপ-এর সমসাময়িক সময়েই। আপ-এর মতোই এই দলটিও বিভিন্ন পেশার সফল ব্যক্তিত্বদের নিয়েই গঠিত। ২০১৫ সালে রাজনীতির ময়দানে নামার এবং সাফল্য লাভের পর গত বছরই তারা আরও তিনটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়লাভ করে। প্রধানত এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই টোয়েন্টি২০ পার্টি-র নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, কেরলের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা লড়াইয়ের ময়দানে নামবে।
এদিকে, এদিন এই দলের সঙ্গেই জোট বাধার কথা ঘোষণা করে কেজরিওয়াল। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘কেরালার টোয়েন্টি২০ পার্টি সঙ্গে জোট বাঁধতে পেরে আমি খুবি খুশি। শ্রী বাবু জেকব (টোয়েন্টি২০ পার্টির মুখ্য কোঅর্ডনেটর) একজন বড় শিল্পপতি। কিন্তু, তিনি কাজ করার জন্য একটি ছোট পঞ্চায়েত এলাকাকে বেছে নিয়েছিলেন। যে পঞ্চায়েত প্রশাসন ৩৬ লাখ টাকার ঘাটতিতে চলছিল, আজ তাদেরই সঞ্চিত আমানতের পরিমাণ ১৪ কোটি টাকা! আমরা একজোট হলে কেরালাকে বদলে ফেলতে পারব।’
উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের নির্বাচনী অভিজ্ঞতার কথাও মনে করান। তিনি বলেন, ‘আমরা দিল্লিতে ভোটে লড়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা ছিল না। আমাদের কাছে লোকবল বা প্রার্থীও ছিল না। অন্যান্য দলের সেই সময় তিনগুন, চারগুন বিধায়ক ছিল। সেই সময় সেখানে শীলা দীক্ষিত ছিলেন। আমাদের সঙ্গে শালিমার বাগের একজন গৃহবধূ ছিলেন। তিনি চারবারের বিধায়ককে হারিয়ে দেন। অখিলেশ ত্রিপাঠী নামে মডেল টাউনের এক ছাত্র ছিলেন। তিনিও চারবারের এক বিধায়ককে হারান।’