বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল আমজনতা। প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই চলেছে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বাজারে গিয়ে দামের জেরে হোঁচট খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। হেঁসেলেও পড়েছে এর প্রভাব। এবার ফের হোঁচট খেতে হবে আমজনতাকে। কারণ মধ্যবিত্তের অস্বস্তি এবং দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দুধের দাম বাড়াল আমূল এবং মাদার ডেয়ারি সংস্থা। জানা গিয়েছে, ১৭ আগস্ট, বুধবার থেকেই নতুন দাম ধার্য হবে। লিটার প্রতি ২ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে দাম। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, চলতি বছরে ৬ মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই দুই সংস্থাই বাড়াল দুধের দাম।
বাজারে এই দুই প্রধান দুধ সরবরাহকারী সংস্থা মাদার ডেয়ারি ও আমূল এদিন দুধের দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। দিল্লি-এনসিআর-এ প্রতি লিটারে ২ টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। আগামিকাল থেকেই এই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে। এদিকে, আমূলও পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে দুধের দাম বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে।
এদিন প্রথমে আমূলের পক্ষ থেকে দুধের দাম বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই অপর সংস্থা মাদার ডেয়ারির পক্ষ থেকেও ঘোষণা করা হয় যে, তারাও দুধের দাম বাড়াচ্ছে। এদিকে, এক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময়ে মাদার ডেয়ারি সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ৫ মাস ধরেই আনুষঙ্গিক খরচ বাড়ছিল। সেই জন্য বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। দাম বাড়ার পর, প্রতি লিটার মাদার ডেয়ারির ফুল ক্রিম মিল্কের দাম হল ৬১ টাকা, টোনড দুধের দাম ৫১ টাকা, ডাবল টোন্ড দুধ ৪৫ টাকা।
দাম বাড়ার প্রসঙ্গে একই যুক্তি দেওয়া হয়েছে আমূলের পক্ষ থেকেও। এদিন সংস্থার পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, দুধের উৎপাদন এবং বিপণনের খরচ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বিগত কয়েক মাস ধরেই। আর সেই কারণেই বাড়ানো হচ্ছে দুধের দাম। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুধের উৎপাদনের সামগ্রিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এই দামবৃদ্ধি করা হচ্ছে। শুধুমাত্র গবাদি পশুর খাদ্য খরচ গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে, আমাদের সদস্য ইউনিয়নগুলিও গত বছরের তুলনায় ৮-৯ শতাংশের মধ্যে কৃষকদের দাম বাড়িয়েছে।’ দাম বাড়ার ফলে, ৫০০ মিলিলিটার আমুল গোল্ডের দাম হবে ৩১ টাকা, প্রতি লিটার আমুল তাজা ২৫ টাকা, আমুল শক্তি ২৮ টাকা।
এদিকে, প্রতি বাড়িতেই দুধের প্রয়োজন পরে, বাড়ির ছোট থেকে বয়স্ক এবং অসুস্থদের জন্য নিয়মিত দুধ লাগবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্তের পকেটেও টান পড়বে।