বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এদিন রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড বাধল। বিধানসভা কক্ষেই বগটুইকাণ্ড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্যের শাসকদল এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়করা।
এদিকে, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে বিধানসভায় সাসপেন্ড প্রস্তাব পেশ করেন ফিরহাদ হাকিম। ওই ঘটনার জেরে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির ৫ বিধায়ককে। এরা হলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, শংকর ঘোষ এবং দীপক বর্মা। রামপুরহাট বগটুই গ্রামের কাণ্ড নিয়ে এমনিতেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি।
অন্যদিকে, দিল্লিতে শাহ-ধনখড় বৈঠক। সূত্রের খবর, রামপুরহাট-সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে। টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল নিজেই। রাজ্যপাল টুইটে উল্লেখ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিল্লির বাসভবনেই এই বৈঠক হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণেই এই বৈঠক হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর আহ্বানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনখড়কে সরানোর দাবি জানান তৃণমূল সাংসদরা। রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে সেদিন শাহকে রিপোর্টও জমা দেন তৃণমূল সাংসদরা। সেদিন অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি চেষ্টা করছেন। কোনও রাজ্যে এটা দেখা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে নিতে পারছেন না। দ্রুত রাজ্যপালকে সরানোর দাবি জানিয়েছি।’
রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। রামপুরহাটকাণ্ড নিয়ে টুইটে নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। এর জবাবে পাল্টা চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার উত্তরে রাজ্যপাল লেখেন, ‘রাজভবনে বসে আমি নীবর দর্শক হয়ে থাকতে পারি না। আমাদের রাজ্য শান্তিপূর্ণ, এই দাবি হাস্যকর।’