বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আগের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল দেশের করোনা পরিস্থিতি। ধীরে ধীরে কমছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। লকডাউন, কড়া বিধিনিষেধ, টিকাকরণে জোরের মধ্যে দিয়ে আবার ধীরে ধীরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছিল ভারত। দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় দু’বছর বাদে দেশের সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই উঠেও গেছে দেশে করোনা সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ। দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ নতুন করে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা মহামারী। নতুন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে করোনার একাধিক নয়া প্রজাতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। পাশাপাশি দেশেও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার চতুর্থ ঢেউ। রাজধানী দিল্লিতেও ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দিল্লিতে যেভাবে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ তা যথেষ্ট উদ্বেগে রেখেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। দ্রুত পজিটিভিটি রেট বেড়ে চলেছে। যা আশঙ্কাজনক বলেই মানছে বিশেষজ্ঞ মহল। শুধু দিল্লিই নয়, এই তালিকায় আরও কয়েকটি রাজ্য বর্তমান। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র দিল্লি-সহ ৫ রাজ্যকে সতর্ক করল। এই ৫ রাজ্যের নামের তালিকায় রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, মিজোরাম, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ।
এই ৫ রাজ্যকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। এই ৫ রাজ্যের প্রশাসনকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রে পক্ষ থেকে চিঠিতে সংক্রমণ রুখতে ৪ টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সেগুলি হল, টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট অ্যান্ড ভ্যাকসিনেট। পাশাপাশি সংক্রমিতদের খুঁজে বের করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের চিকিৎসা করতে হবে। এছাড়াও অবশ্যই টিকাকরণের হার আরও বাড়াতে হবে। এখানেই শেষ নয়, ভিড় এলাকায় কেউ মাস্ক ছাড়া ঘুরলেই জরিমানা করতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ পাঁচ রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলেছেন যে, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই কঠোর নজরদারি বজায় রাখতেই হবে এবং সংক্রমণের যে কোনওরকম বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করতে আগে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি রিপোর্ট পজিটিভ এলে তা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্যও পাঠাতে হবে।