বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও একবার পুরীর জগন্নাথ নয়া বিপত্তি। ঘটা করে সাজানো রথে ফাটল দেখা গিয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভগবান বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার রথদুটির চাকাতে ফাটল দেখা গিয়েছে। পুরীর ঐতিহ্য প্রাচীন রথযাত্রার এই সপ্তাহব্যাপী উৎসবের মাঝে এই ঘটনায় ‘অশুভ ইঙ্গিত’ পাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। উল্লেখ্য, এর আগে পুরীর গুণ্ডিচা মন্দিরে ঢুকে উনুন ধ্বংস করে দুষ্কৃতীরা। এরপর এই রথের চাকায় ফাটল। পরপর এই ঘটনায় চিন্তিত সকলে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
এদিকে, পুরীর মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রথযাত্রা উৎসবের ‘দক্ষিণা মোদা’ রীতি পালন হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার তিনটি রথ পর্যবেক্ষণ করে দেখছিলেন মন্দিরের সেবায়েতরা। তখনই দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবায়েতদের নজরে আসে রথের চাকায় ফাটল ধরার বিষয়টি। জানা গিয়েছে, ভগবান বলরামের রথ ‘তালধ্বজ’ এবং দেবী সুভদ্রার রথ ‘দর্পদলনা’ রথদু’টির চাকায় হালকা চিড় ধরেছে।
এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পর্যবেক্ষণ দলকে মন্দির চত্বরে ডেকে পাঠানো হয়। সেই দলের সদস্যরা জানিয়েছেন, ভগবান বলরামের ‘তালধ্বজ’ রথের ‘পিডিনাহাকা’ চাকায় ফাটল ধরেছে। এর পাশাপাশি দেবী সুভদ্রার ‘দর্পদলনা’ রথের ‘বদাউচুলা’ চাকায় চিড় ধরেছে। জানা গিয়েছে, ওই ফাটল মেরামতি করার জন্য দুটি রথের চাকাতেই লোহার পাত বসানো হবে। ওড়িশা সরকারের জনস্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই মেরামতির কাজ করা হবে। রথযাত্রা অনুষ্ঠান শুরু আগেই এই মেরামতির কাজ শেষ করার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন কর্মীরা।
উল্লেখ্য, রথযাত্রার অনুষ্ঠানের আগেই ভগবান জগন্নাথের রথ ‘নান্দীঘোষ’ রথের চাকাতেও সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল। রাতারাতি সেই চাকা বদল করা হয়েছিল। সেখানেও লোহার ব্যবহার করা হয়। রাতভর করেছিলেন ইঞ্জিনিয়াররা।
প্রসঙ্গত, রথযাত্রার পরের দিনও পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ভাঙচুর চালানো হয়েছিল গুণ্ডিচা মন্দিরের রান্নাঘরে। জানা যায়, ওই মন্দিরের রান্নাঘরে প্রায় ২০ টির মতো উনুন ভাঙা হয়েছিল। রথযাত্রার রাতেই নাকি মন্দিরের রান্নাঘরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা এই তাণ্ডব চালিয়েছিল বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সেই ঘটনার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পর পর এই ঘটনায় অমঙ্গলের ছায়া দেখছেন অনেকেই। এদিকে, গোটা ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গত শুক্রবারই পুরীর জগন্নাথধাম থেকে রথে চেপে মাসির বাড়ি গুণ্ডিচা মন্দিরে পৌঁছেছেন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। সেখানেই আগামী আটদিন থাকবেন তাঁরা। এরপর ফের পুরীর মন্দিরে ফিরে আসবেন।