বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দিল্লিতে। শনিবার গভীর রাতে দিল্লির গোকুলপুরী এলাকার ঝুপড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত হয়ে যায় ৬০ টি ঝুপড়ি। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির ভিতরে বেশ কয়েকজনের আটকে থাকার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। সেই জন্যই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে পুলিশ ও দমকলবাহিনী।
উল্লেখ্য, দিল্লির এই গোকুলপুরীতে বিশাল জনবসতি রয়েছে। শুক্রবার রাত একটা নাগাদ সেই বসতিতে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলেই খবর। সঙ্গে সঙ্গেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের ১৩ টি ইঞ্জিন কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এর মধ্যেই ৭ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।
দিল্লি ফায়ার ডিরেক্টর অতুল গর্গ এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘আমরা ৭ টি পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করেছি যাদেরকে চেনা যাচ্ছে না, দেখে মনে হচ্ছে এরা ঘুমাচ্ছিলেন এবং আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পালাতে পারেনি। ৬০টির মতো ঝুপড়িও সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আমরা এখনও আগুনের কারণ জানতে পারিনি।’ এখনও ভিতরে কারও দেহ আটকে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোর চারটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে ৬০ টি ঝুপড়িই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার দেবেশ কুমার মাহলা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জানিয়েছেন, ‘রাত একটা নাগাদ গোকুলপুরী থানা এলাকা থেকে আগুন লাগার খবর মেলে। তার পরই দমকল বাহিনী পৌঁছে যায় এলাকায়। আমরাও দমকল দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। আগুন নেভাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়। ভোর চারটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’ তবে কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শোকপ্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে, তিনি অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।
এদিকে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাংসদ মনোজ তিওয়ারি ৭ জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ‘পুরো বিষয়টির একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত এবং অবিলম্বে আত্মীয়দের জন্য ১ কোটি টাকা সহায়তা ঘোষণা করা উচিত।’