বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ অতি সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা দুই পরিযায়ী শ্রমিকের। বুধবার একটি যৌথ অভিযানে ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিকে খতম করল কাশ্মীর পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এর আগেও ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলেই খবর। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সোপিয়ানের যে এলাকায় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন করেছিল জঙ্গিরা, সেখানেই এদিন জঙ্গি দমন অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
এদিন সোপিয়ানের নওগায় একসঙ্গে অভিযান চালায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এক বিবৃতি জারি করে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে যে, ক’দিন আগে এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিন সকালে সোপিয়ানে একটি জঙ্গি দমন অভিযান চালানোর সময়ে গুলির লড়াই চলে। সেই সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে এ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ওই জঙ্গির নাম ইমরান বসির গনি নামের এক হাইব্রিড জঙ্গির। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে সোপিয়ানের হারমেন এলাকায় সোমবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিককে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। গুরুতরভাবে আহত হন ওই দুই শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা মৃত দুই শ্রমিকের নাম মণীশ কুমার ও রাম সাগর। এই হামলার পরে অবশ্য স্থানীয় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এক জঙ্গি।
একটি টুইটে কাশ্মীরের জোন পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করার কথা জানানো হয়েছিল। টুইটে জানানো হয়, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এলইটি-র হাইব্রিড সংগঠন হারমেনের ইমরান বশির গনি যে গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী তাকে গ্রেফতার করেছে সোপিয়ান পুলিশ। এই জঙ্গিরা জঙ্গি কার্যকলাপ চালালেও, ভিন্ন পরিচয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মিশে যায়। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সাধারণ জীবন-যাপন করে থাকে।