বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গেল মোদীগড় গুজরাটে। এই রাজ্যের মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে ভেঙে পড়ল কেবল ব্রিজ। এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, অনেকের খোঁজ নেই। দুর্ঘটনার সময় শতাধিক মানুষ ছিলেন ওই ব্রিজে। বেশ কিছু মানুষের নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারে নেমেছে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেতুটি সারানোর কাজ চলছিল। দিন পাঁচেক আগে মেরামতির পরে, নতুন করে খুলে দেওয়া হয় ওই সেতু। আর তারপরই আজ সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে অ্যাম্বুল্যান্স, যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে চলছে উদ্ধার কাজ।
উল্লেখ্য, মোরবির এই কেবল ব্রিজ বহু বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। গুজরাটে এই সেতু বা ব্রিজ অত্যন্ত জনপ্রিয়। সম্প্রতি মেরামতের জন্য বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ওধভজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপকে মেরামতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি মেরামত করা হয়েছে। পরে ২৬ অক্টোবর পুনরায় সেতুটি চালু করা হয়।
রবিবার ছটপুজো উপলক্ষ্যে গুজরাটে ছুটি ছিল। তাই সেতুতে অনেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল। দুর্ঘটনায় সময়, কমপক্ষে কয়েকশো লোক নিয়ে সেতু ভেঙে পড়ে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেতু ভেঙে মচ্ছু নদীতে অনেকেই পড়ে যান। তাঁদের মধ্যেই কেউ কেউ সাঁতার কেটে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, কেউ আবার ঝুলন্ত ব্রিজের দড়ি ধরে ঝুলছেন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এদিকে, বর্তমানে গুজরাট সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে যে, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে, মেরামতির পরেও কেন এই ব্রিজ ভেঙে পড়ল? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি বড় দুর্নীতির অভিযোগও উঠছে।
অন্যদিকে, এই দুর্ঘটনায় শিশু এবং মহিলাদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, শুরুতে স্থানীয়রাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলের কাছে। সেই সঙ্গে তাঁকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্যের ঘোষণাও করেছেন। জানা গিয়েছে, আজকের এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।